বেনাপোল বন্দরে ১৭ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২২, ০৯:৫৯

বেনাপোল স্থলবন্দরে পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফর্কলিফট নেই। ছবি : বেনাপোল প্রতিনিধি
দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর যশোরের বেনাপোলে পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফর্কলিফট না থাকায় পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফর্কলিফটের দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৭ মে) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি।
গতকাল রবিবার (১৫ মে) বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বেনাপোল বন্দর দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর হওয়া সত্ত্বেও এখানে ভারি পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্য পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফর্কলিফট নেই। যেগুলো আছে তার মধ্যে কয়েকটা কিছুটা ভালো থাকলেও পণ্য খালাস করতে গিয়ে বার বার নষ্ট হয়ে যায়। এ ক্রেন ও ফর্কলিফট চালকরাও অদক্ষ।
যে কারণে এ বন্দরে আমদানি করা ভারি পণ্য খালাস করতে দীর্ঘদিন সময় লেগে যাচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে অন্য বন্দর চলে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এ কারণেই আগামী ১৭ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে তারা। এছাড়া এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদারকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানালেও তিনি বিষয়টি আমলে নেননি।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, বন্দরে ছয়টি ক্রেন ও ১০টি ফর্কলিফট রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি ক্রেন ও ফর্কলিফট নষ্ট হয়ে গেছে। যা মেরামতের কাজ চলছে। শিগগিরই সমস্যা কেটে যাবে।
বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী এস সর্দারের প্রতিনিধি নয়ন জানান, এ বন্দরে প্রায় সবগুলো ক্রেন ও ফর্কলিফট অকেজো হয়ে গেছে। যে ক্রেন ও ফর্কলিফট একটু ভালো আছে সেগুলোও বার বার নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে গত ২৫ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত তার ৭০ ট্রাক পণ্য আমদানি হলেও ক্রেন অকেজো থাকায় খালাস মাত্র তিন ট্রাক পণ্য। ফলে তাদের প্রতিদিন বাড়তি ট্রাক ভাড়া দিতে হচ্ছে। এতে তাদের লোকসানে পড়তে হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দরে ক্রেন ও ফর্কলিফট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাক বেঙ্গল এন্টারপ্রাইজের ম্যনেজার মিল্টন বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বর্তমানে পিডিপি (বিদ্যুৎ টাওয়ারের মালামাল) অ্যাঙ্গেল আমদানি হচ্ছে। এতে এ অ্যাঙ্গেল ওঠাতে ও নামাতে গিয়ে তাদের বেশ কিছু ক্রেন ও ফর্কলিফটের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে। ফলে পণ্য ওঠাতে-নামাতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া এ বন্দরে তাদের ছয়টি ক্রেনের মধ্যে তিনটি এবং ১০টি ফর্কলিফটেরমধ্যে আটটি সচল আছে। খুব দ্রুত আরো দুইটি ক্রেন আনা হবে। নষ্ট হয়ে যাওয়া ক্রেন ফর্কলিফটগুলো দ্রুত মেরামত করা হবে।