সমন্বয়ের জন্য টিসিবির পণ্য বিক্রি সাময়িক স্থগিত : বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২২, ১৩:৫৭

অনুষ্ঠানে কথা বলছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ছবি : সংগৃহীত
সমন্বয়ের জন্য ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই টিসিবির ট্রাক সেল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। আগামী জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ১ কোটি মানুষকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু হবে। এ সময়ে গ্রামের সঙ্গে শহরের নিম্ন আয়ের মানুষকে একইভাবে পণ্য দেওয়া হবে। বিষয়টি সমন্বয়ের জন্যই ট্রাক সেল কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৬ মে) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’এ তিনি এসব কথা জানান।
বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে দেশের মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করার কথা জানিয়েছিল টিসিবি। তবে গতকাল রবিবার (১৫ মে) শেষ মুহূর্তে হঠাৎ করেই এ কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার কথা জানিয় সংস্থাটি।
টিসিবির ট্রাক সেলে ১১০ টাকায় প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রির কথা ছিল, যেখানে বাজারে দাম ১৯৮ টাকা। এছাড়া টিসিবির ট্রাকে প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, মশুর ডাল ৬৫ টাকা এবং ছোলা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।
এদিকে দেশের খাদ্য পণ্যের দামের ওপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অনেকটা প্রভাব ফেলেছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সামনের দিকে কিছুটা সংকট রয়েছে। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শ্রীলঙ্কার চিত্র তুলে ধরে অনেকে প্রচার করছেন, এমন অবস্থা বাংলাদেশেরও হতে পারে। কিন্তু সেরকম কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা নিজেরাই শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়েছি।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অবস্থা ভালো থাকলে দেশের অবস্থাও ভালো থাকে। আমি বৈশ্বিক সমস্যার মধ্যে আছি। তেল, চিনি, ডালের দাম নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে। তেলের ৯০ ভাগ আমাদের আমদানি করে আনতে হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে দামের প্রভাব পড়লে দেশেও দাম বেড়ে যায়। তিনি আরো বরেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কয়েকটি পণ্য আছে যেগুলো আমরা মনিটর করি। ঈদের আগে তেলের দাম নিয়ে অনেক কথা এসেছে। প্রতি মাসে একবার বসে ট্যারিফ কমিশন এই প্রাইজিংটা (দাম নির্ধারণ) করে। সবকিছু অ্যাভারেজ করে দামটা নির্ধারণ করা হয়। আমাদের একটা বিশেষ কারণ ছিল, ঈদের (রমজান) মাসটাতে আমরা দামটা বাড়াতে চাইনি। ব্যবসায়ীদের বলেছিলাম, এই সময়টা ম্যানেজ করেন। তাই যেই সময়ে দামটা ফিক্স (নির্ধারণ) করা হয় সেখানে কিছুটা বিলম্ব হয়। যেহেতু তারা ভেবেছিলেন ঈদের পর দামটা বাড়বে, সেজন্য অনেকে তেল জমিয়ে রেখেছিলেন।
এ মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম একটু চড়া জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, তবুও দাম মানুষের নাগালের মধ্যেই আছে। পেঁয়াজের দাম যদি কৃষক ২৫ টাকা পান তাহলেও মোটামুটি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়। পরে সেটির সাথে ট্রান্সপোর্টসহ কিছু কস্টিং যুক্ত হয়।
বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সংলাপে সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মেহ্দী আজাদ মাসুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, অর্থ সম্পাদক মো. শফিউল্লাহ সুমন, সদস্য ইসমাইল হোসাইন রাসেল, হাসিফ মাহমুদ শাহ উপস্থিত ছিলেন।