
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কথা বলছেন। ছবি : সংগৃহীত
আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর এর বেশিরভাগই ব্যয় করা হবে পরিবহন, যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে।
এছাড়া স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের প্রায় ৯ হাজার ১৩০ কোটি টাকার এডিপিও অনুমোদিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৭ মে) শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ও এনইসির চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনের সাথে সংযুক্ত হয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এনইসি সম্মেলন কক্ষ ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
চলতি অর্থবছরে এডিপির প্রস্তাবিত আকার মূল এডিপির তুলনায় ২০ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছর এডিপির আকার ছিল দুই লাখ ২৫ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির চেয়ে প্রস্তাবিত ৩৮ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা বেশি। সংশোধনের পর চলতি অর্থবছরের এডিপির আকার দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত এডিপিতে বিদেশি সহায়তার পরিমাণ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় যা মাত্র ২২৫ কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরের মূল এডিপিতে বিদেশি সহায়তার পরিমাণ ধরা হয় ৯২ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। অবশ্য সংশোধিত এডিপিতে এ আকার ৭০ হাজার ২৫০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন এডিপি অনুমোদন হয়েছে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করেই এই অনুমোদন। মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নসহ নানা উন্নয়নকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
অন্য বছরের মতো এবারও দেশের সম্পদ, বৈদেশিক অর্থায়ন ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা নিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রসার, কোভিড -১৯ মোকাবিলা, অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি , শিক্ষা-স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন , মানবসম্পদ উন্নয়ন , খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, দারিদ্র্য বিমোচন তথা দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে ।
সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।