পদ্মা সেতু
টোল বাবদ বছরে এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা

ডেস্ক রিপোট
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২২, ০৯:৩৭

পদ্মা সেতু
রাজধানী ঢাকার সাথে মোংলা ও পায়রা বন্দরের যোগাযোগ সহজতর করার পাশপাশি পদ্মা সেতু দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ১.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আনবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, সেতুটি জিডিপিতে ৪২ হাজার ৩৬২ দশমিক ২১ কোটি টাকা যোগ করবে; যা মোট জিডিপির ১.২ শতাংশের সমান। সরকারের সেতু বিভাগ অর্থ বিভাগ থেকে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যা এক শতাংশ সুদসহ ৩৬ বছরের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পদ্মা সেতু দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন থেকে এই টোল আদায় করা হবে।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে প্রতি মাসে ১৩৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা টোল আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। সেই টাকা ১৪০ কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে। এজন্য সরকার বছরে এক হাজার ৬০৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা টোল আদায় করতে চায়।
সরকার ইতোমধ্যে যানবাহনের টোল হার নির্ধারণ করেছে। দেশের সবচেয়ে বড় এই সেতুতে দুই ধরনের টোল আদায় হবে। এর মধ্যে একটি হলো- সরাসরি টোল পরিশোধ করা যায়। চালকরা অগ্রিম রিচার্জ করে কার্ড দেখিয়ে টোল পরিশোধ করতে পারবেন। এর জন্য টোল প্লাজায় যানবাহন থামাতে হবে না।
পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, সেতু নির্মাণে সরকারের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। চুক্তি অনুযায়ী ৩৫ বছরে সুদসহ ৩৬ হাজার কোটি টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়কে পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। লোন রিপেমেন্ট শিডিউল অনুযায়ী প্রথম বছরেই ৫৯৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ঋণ পরিশোধ করতে হবে। আবার কোনো কোনো বছর পরিশোধ করতে হবে ১ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা পর্যন্ত।
গত ১৭ মে পদ্মা সেতুর টোল নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ। কর্তৃপক্ষ প্রত্যাশা করছে, প্রথম বছরে টোল আসবে ১ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টোলের বেশিরভাগ টাকা দিয়ে সরকারের ঋণ পরিশোধ করা হবে। বাকিটা খরচ হবে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে।
পদ্মা সেতু প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প পদ্মা সেতু দেশের জনগণের টাকায় নির্মিত হয়েছে। উদ্বোধনের পর সেতুটির টোল আদায় করবে কোরিয়া এক্সপ্রেস করপোরেশন এবং চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি। সরকার ইতোমধ্যে তাদের নিয়োগ দিয়েছে। টোল আদায়ের পাশাপাশি কোম্পানিগুলো সেতুর ঋণ পরিশোধ করবে এবং ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজও করবে তারা।
তিনি বলেন, সেতুটি নির্মাণে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে তা ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে পরিশোধিত হবে। তবে আনুমানিক টোল আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা যথাসময়ে অর্জিত হলে ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে সেতুর পুরো খরচ আদায় করা সম্ভব হবে। -ইউএনবি