
গরুর চামড়া। ছবি: সংগৃহীত
ঈদুল আযহায় কোরবানিকৃত পশুর চামড়া কিনতে খুব বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। গরুর চামড়ায় কিছুটা আগ্রহ থাকলেও, খাসির ক্ষেত্রে বিনামূল্যেও কেউ তা নিতে চাচ্ছে না। রবিবার (১০ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে।
জিগাতলা ও মোহাম্মদপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন দামে গরুর চামড়া কিনলেও খাসির চামড়ায় একদমই অনাগ্রহ দেখাচ্ছে।
আবার কেউ সামান্য আগ্রহ দেখালে ১০০-১৫০ টাকার চামড়ার দাম ১০-১৫ টাকার বেশি দিতে রাজি হচ্ছেন না। অনেকে বিক্রি করতে না পারায় চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
রাজধানীর সাইন্সল্যাব এলাকার বাসিন্দা রকিবুল হাসান এবার একটি গরু ও খাসি কোরবানি দিয়েছেন। কম দামে গরুর চামড়া বিক্রি করতে পারলেও খাসির চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না।
রকিবুল হাসান বলেন, গরুর চামড়াটি কোনো রকমে ৩০০ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু খাসির চামড়াটা বিনামূল্যে নিচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। ভেবেছিলাম চামড়া দুইটি বিক্রি করতে পারলে টাকাগুলো গরিব মানুষদের দিয়ে দেব। কিন্তু এখন তো উল্টো বিপদে পড়েছি। এই খাসির চামড়ার এখন কী করব। কাউকে না দিতে পারলে তো কিছুক্ষণ পর পচে দুর্গন্ধ বের হবে।
অবশ্য মৌসুমি চামড়ার ব্যবসায়ীরা বলছেন, মূল চামড়ার ব্যবসায়ীরা তাদের খাসির চামড়া নিতে না করে দিয়েছে। আর কেউ নিয়ে গেলও তারা কিনছেন না। ফলে তারা এবার খাসির চামড়ায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, গরুর তুলনায় খাসির চামড়া অনেক ছোট। তাই বিদেশের বাজারে খাসির চামড়ার কোনো চাহিদা নেই। তাই খাসির চামড়া খুব একটা কিনছি না।