
ফাইল ছবি
চালের বাজার আবারো অস্থির।
খুচরা বিক্রিতে বেড়েছে কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা। চালের দাম বৃদ্ধিতে সরকার আমদানির
উদ্যোগ নিলেও ডলার সংকটে গতি নেই।
গত তিন-চার দিনের ব্যবধানে
মিনিকেট ও নাজিরশাল চালের দাম কেজিতে এক থেকে দুই টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাড়তি দামে
বড় চালানে আগ্রহ পাচ্ছেন না তারা। এছাড়া, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে উৎপাদন সংকটে পড়েছে চালকল
গুলো।
রাজধানীর বাবুবাজার, বাদামতলী,
রায়সাহেব বাজার, সূত্রাপুর বাজারসহ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চালের ভরা
মৌসুমেও দেশের বাজারে এ খাদ্য পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ীদের
কম শুল্কে চাল আমদানির সুযোগ দিয়েছে সরকার। চার দফায় এ পর্যন্ত ৯ লাখ ১০ হাজার টন চাল
আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। তারপরও রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দাম কমেনি।
খুচরা বাজারে কেজিতে দুই থেকে
তিন টাকা বেড়েছে প্রায় সব ধরনের চালের দাম। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল মান ভেদে বিক্রি
হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭২ টাকায়। সে হিসেবে প্রতি বস্তা চাল ৩৩০০ থেকে ৩৬০০ টাকা। তিন-চার দিন
আগে এর দাম ছিল ৬৬ থেকে ৭০ টাকা। কেজিতে দুই টাকা বেড়ে নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭৪ থেকে
৮২ টাকায়। আর এক বস্তা চাল ৩৭০০ থেকে ৪১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
বিআর-২৮ জাতীয় চাল কেজিতে দুই
টাকা বেড়ে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এক বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৮০০ থেকে ২৯০০
টাকায়। তবে মোটা চালের ক্ষেত্রে দাম অপরিবর্তিত দেখা গেছে। এ মানের চাল বিক্রি হচ্ছে
৪৮ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে।
সপ্তাহ ব্যবধানে পাইকারিতে
মোটা চাল ৫০ কেজির বস্তায় ২৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। মিনিকেটের দাম বেড়েছে
বস্তা প্রতি ১০০ টাকা পর্যন্ত। পাইকারিতে এখন মোটা চাল বি-২৮ ও পাইজাম ৫০ কেজির বস্তা
২৪০০ থেকে ২৬০০ টাকা, চিকন চাল মিনিকেট বস্তা তিন হাজার থেকে ৩২৫০ থেকে ৩৪০০ টাকা এবং
নাজিরশাইল ৫০ কেজির ৩৫০০ থেকে ৩৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।