‘যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যাবে অনেক শিল্প কারখানা’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২২, ১৫:০৭

চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
সাংসারিক খরচ মেটাতে না পেরে অনেক শ্রমিক গ্রামে চলে যাবে। এতে আমাদের শিল্প করখানা বন্ধ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান।
আজ বুধবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) কার্যালয়ে ‘জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এখন এড়ানো যেত কি?’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কারখানা পরিচালনা করতে মালিকদের এমনিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। তার উপর শ্রমিকের সংকট দেখা দিলে শিল্পখাতই থমকে যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
অনুষ্ঠানে ফজলে শামীম এহসান বলেন, ৪০ লাখ পোশাকশ্রমিক বিপদে পড়বে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে পোশাকশ্রমিক কাজে মন দিতে পারবে না। দাম বৃদ্ধির কারণে ডিজেল দিয়ে শিল্প চালু রাখা ফিজিবল না। এক্সপোর্ট পজিশন ভালো না। এখন ডলার ক্রাইসিস। আমরা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গেছি। কারণ বায়ারের কাছ থেকে বাড়তি দাম নিতে পারছি না। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে। শ্রমিক গ্রামে চলে যাবে।
তিনি বলেন, ডিজেলের প্রাইস কমানো যেতো কি না বলতে পারবো না। তবে এতে পরিবহন ভাড়া বেড়েছে কয়েকগুণ। তেলের দাম বৃদ্ধিতে দ্রব্যমূল্য কতটুকু বৃদ্ধি পাবে এটা সরকারকে ঠিক করতে হতো। ডিজেলের সুযোগে অনেক কিছুর দাম বাড়ছে। আমাদের পরিস্থিতি খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে। ডিজেলের দাম না কমালে শিল্প কারখানা বন্ধ করে বসে থাকা ছাড়া কোনো পথ নেই।
অনুষ্ঠানে বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক, জ্বালানি ও টেকসই উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক, সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক চৌধুরীসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।