সৌদি দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দেয়া বন্ধ রাখবে বায়রা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২২, ১৯:১৪

রাজধানীর একটি হোটেলে বায়রা’র জরুরি সভা। ছবি: সংগৃহীত।
সৌদি আরবগামী কর্মীদের পাসপোর্ট তৃতীয় একটি পক্ষের মাধ্যমে জমা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। এর প্রতিবাদে আগামীকাল রবিবার (১৬ অক্টোবর) থেকে সৌদি দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দেয়া বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা)।
আজ শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে সংগঠনের এক জরুরি সভা থেকে এ ঘোষণা দেন বায়রা’র সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার।
তিনি জানান,সম্প্রতি সৌদিগামী কর্মীদের পাসপোর্ট গ্রহণ ও ভিসা স্ট্যাম্পিংয়ের দায়িত্ব সৌদি দূতাবাস ‘শাপলা সেন্টার’ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছে। তার প্রতিবাদ জানাচ্ছে বায়রা।
বায়রা’র সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, যদি তারা তাদের সিদ্ধান্ত বাতিল না করে, তাহলে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামীকাল রবিবার (১৬ অক্টোবর)থেকে আমরা সৌদি আরব দূতাবাসে কোনো পাসপোর্ট জমা দেব না।
গত ৭ অক্টোবর সৌদি দূতাবাস থেকে জানানো হয়, ১৫ অক্টোবর থেকে রিক্রুটিং এজেন্টের কাছ থেকে সরাসরি কোনো পাসপোর্ট জমা নেওয়া হবে না; শাপলা সেন্টারের মাধ্যমে তা নেওয়া হবে।
বাশার বলেন, শাপলা সেন্টার নামক একটি প্রতিষ্ঠান চালু করে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে। এখানে কারও না কারও কিছু উদ্দেশ্য আছে। নাহলে সৌদি অ্যাম্বাসির মাথায় এটা ঢুকতে পারে না।
তিনি বলেন, সৌদি আরব শুধু বাংলাদেশ থেকে লোক নেয় না, ভারত, ইন্দোনেশিয়া থেকেও লোক নেয়। ভারতে এই একই নিয়ম করতে চেয়েছিল, কিন্তু সব রিক্রুটিং মালিক একসঙ্গে হয়ে তাদের কাছ থেকেই পাসপোর্ট নিতে বাধ্য করেছিল। যদি ভারত পারে, বাংলাদেশ কেন নয়?
বায়রা সদস্যদের অভিযোগ, এই শাপলা সেন্টার হল মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের মতো সৌদি আরবের শ্রম বাজারেও ‘সিন্ডিকেট তৈরির একটি অপচেষ্টা’।
তারা বলছে, এখন প্রত্যেকটি এজেন্সি কোনো প্রকার ফি ছাড়াই সরাসরি সৌদি দূতাবাসে কর্মীদের পাসপোর্ট জমা দিতে পারে। কিন্তু তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে তা হলে বেসরকারি ফার্ম একটি ফি নেবে, তাতে অভিবাসন খরচ বেড়ে যাবে।
শাপলা সেন্টারের সঙ্গে বায়রার সহ-সভাপতি নোমান চৌধুরীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও সংগঠনের সদস্যদের মধ্য থেকে উঠেছে। এ প্রসঙ্গে বায়রা সভাপতি বাশার বলেন, যদি নোমানের কোনো প্রমাণ পাই, বা বায়রার অন্য কোনো সদস্য এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আছে প্রমাণ পাই, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করব।
তিনি আরো বলেন, কমিটির কোনো সদস্য জড়িত থাকলে পদত্যাগ করে আপনাদের দরবারে হাজির করে দেব। যদি বায়রার স্বার্থ কেউ নষ্ট করতে চায়, তাকে ইসি কমিটি থেকে বাতিল করতে পারব।