Logo
×

Follow Us

অর্থনীতি

মাছ-মাংস ছাড়াই পরিবার প্রতি খাবার খরচ ৯ হাজার টাকা

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২২, ১৮:৪৯

মাছ-মাংস ছাড়াই পরিবার প্রতি খাবার খরচ ৯ হাজার টাকা

মাছ-মাংসের বাজার। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় মাছ-মাংস না খেয়েও ৪ সদস্যের এক পরিবারকে মাসে খাবার কিনতে গড়ে ৯ হাজার ৫৯ টাকা খরচ করতে হয়। আর মাছ-মাংস খেলে সেই খরচ মাসে বেড়ে দাঁড়ায় ২২ হাজার ৪২১ টাকায়।

মূলত মূল্যস্ফীতির চাপে ঢাকা শহরে পরিবার প্রতি খাবার কেনার খরচ কতটুকু বেড়েছে— তা বুঝাতেই এমন উদাহরণ দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আজ বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ধানমন্ডির সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির পক্ষে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাচ্ছে। শুধু আমদানি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নয়; দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এটা মানুষের ওপর বোঝা হয়ে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতির লাগামহীন অবস্থা। ফলে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার বিঘ্নিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, খাদ্যসংকটের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বলছে, ভবিষ্যতে বিশ্বের ৪২টি দেশে খাদ্যসংকট হতে পারে। এই তালিকায় বাংলাদেশ আছে।

মূল্যস্ফীতি চাপ কমাতে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সুপারিশ করে ফাহমিদা খাতুন বলেন, সাধারণ মানুষ চাপে আছে।  মূল্যস্ফীতির তুলনায় মজুরি বৃদ্ধির হার কম। মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি, আর ৫ শতাংশ হারে মজুরি বাড়ছে। সিপিডি দেখিয়েছে, এত কম হারে মজুরি বাড়লে বিভিন্ন খাতের শ্রমিকেরা মাছ-মাংস না খেয়েও সংসার চালাতে পারবেন না। তাদের ন্যূনতম মজুরি চেয়ে খাবার খরচের বেশি। এ তালিকায় আছে তৈরি পোশাক, হোটেল-রেস্তোরাঁ, প্রসাধনী, দর্জি, বেকারি, অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ, প্লাস্টিক, চালকল, চামড়া ও পাদুকা খাতের শ্রমিকেরা।

সিপিডি মনে করে অর্থনীতিতে সাতটি সংকট আছে। সেগুলো হলো- মূল্যস্ফীতি, ডলার, খাদ্য, জ্বালানি, ইউক্রেন যুদ্ধ, কোভিড-১৯ এবং জলবায়ু পরিবর্তন।

সিপিডি বলছে, এ সংকট মোকাবিলায় সরকারের উদ্যোগগুলো সঠিক, কিন্তু পর্যাপ্ত নয়। এ জন্য প্রয়োজন মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫