বৈদেশিক মুদ্রা বেচা-কেনা করা মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা নগদ রাখতে পারবে। আজ বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে এই নির্দেশনা দেয়।

এর আগে, মানি চেঞ্জাররা প্রতিদিন কত টাকা রাখতে পারবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা ছিল না। মূলত হুন্ডি ব্যবসা প্রতিরোধ করতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়,  কিছু মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে হুন্ডি ব্যবসার অভিযোগ আছে। তাই অফিসে নগদ ১ কোটি টাকার বেশি থাকলে হুন্ডির সম্ভাবনা থাকে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন মানি চেঞ্জার প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণ করতে পারেন।

এই সীমার বাইরে বৈদেশিক মুদ্রা হয় যে ব্যাংক থেকে নগদ টাকা করে ফেলতে হবে, নয়তো মানিচেঞ্জারের নিজস্ব ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে। তবে ওই অ্যাকাউন্টেও একসঙ্গে ৫০ হাজার ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা থাকতে পারবে না।

বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে চলমান অস্থিরতার মধ্যে স্থানীয় খোলা বাজারে মার্কিন ডলারের দাম সম্প্রতি বেড়ে ১২০ টাকা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে চলতি বছরের জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক পরিদর্শক দল গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের নিয়ে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন মানি চেঞ্জার অফিসে আকস্মিক অভিযান চালায়।

খোলাবাজারে মার্কিন ডলারের দাম বাড়ানোর কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংক অন্তত ৫ মানিচেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করে এবং প্রায় ৪০ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।