বেসরকারিভাবে জ্বালানি তেল আমদানির চিন্তা ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২২, ২০:২৪

পেট্রোল পাম্প। ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট জ্বালানি সংকট নিরসনে বেসরকারি উদ্যোগে জ্বালানি আমদানির চিন্তা ভাবনা করছে সরকার। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে জ্বালানি বিভাগকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (২৮ নভেম্বর) মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি জানান, ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২২’-এর খসড়া অনুমোদনের সময় মন্ত্রিসভার সদস্যরা এ বিষয়ে আলোচনা করেন। সেই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই এমন চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জ্বালানিসহ অন্যান্য এনার্জি বেসরকারিভাবে আমদানির ব্যবস্থা করা যায় কিনা, তা নিয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
তিনি জানান, বৈঠকে দুটি উপায় নিয়ে আলোচনা করেন তারা। একটি, ফুয়েলসহ অন্যান্য এনার্জি নিয়ে এসে বাজারে বিক্রি করলে বেশি ভালো হবে কিনা। আরেকটি, যারা ক্রুড অয়েল আনবে, তারাই সেটা রিফাইন করবে কিনা। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) ছাড়া কেউ জ্বালানি বাজারজাত করতে পারে না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সাধারণত, ক্রুড অয়েল রিফাইন করে ৪১ থেকে ৪২ শতাংশ রিফাইনড অয়েল হয়। রিফাইনড অয়েলটা তারা বিপিসির কাছে দিবে কিনা অথবা তারা সরাসরি বাজারজাত করতে পারে কিনা সেটাও দেখতে হবে। তবে ক্রুড অয়েল ও বিটুমিনসহ অন্যান্য যে উপজাত পণ্য আসবে, এগুলো তারা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করবে অথবা বাইরে রপ্তানি করবে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রিফাইনড অয়েলের বিষয়ে দুটি অপশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হয় তারা বিপিসির কাছে বিক্রি করে দিবে বা বিপিসি তাদের অন্য কোন ম্যাকানিজ কিংবা আইন সংশোধন করে বিক্রির অনুমতি দিবে। এক্ষেত্রে রিফাইনড অয়েল আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য কিনা সেটা বিএসটিআইকে মনিটরিং করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এসব বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনায় রাখতে বলা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে যেতে বলা হয়েছে।