
চাল, সবজি, ডিম ও মুরগি। ছবি: সংগৃহীত
সপ্তাহ শেষে প্রায় সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২-৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সেই সাথে সবজির দাম প্রকার ভেদে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।অন্যদিকে মুরগি ও ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। আজ শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিনে মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মোটা পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬-৬০ টাকা। মাঝারি মানের মিনিকেট ৭০-৭২ টাকা ও সরু নাজির চাল ৭৫-৮৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে পাইজাম চালের দাম বেড়েছে ২ টাকা, মিনিকেট ২ টাকা ও ভালো মানের নাজিরশাইল চালের দাম বেড়েছে ৫ টাকা।
চিকন চালের দাম কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে ৬৮ টাকা, মাঝারি বা পাইজাম চাল ২ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা এবং মোটা চাল কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে জিগাতলা কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি সবজিতে দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। আকার ভেদে পাতাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা।
বাজারে শিমের কেজি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা ৬০-৮০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০-৫৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৭০-৮০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৬০-৮০ ও ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা কেজি।
এই বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা।
জিগাতলা কাঁচা বাজারে সবজি বিক্রেতা সুমন বলেন, সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে।
এখানে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ১২০-১৩০ টাকা। আদা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা। প্যাকেট চিনির কেজি ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খোলা আটার কেজি ৬০-৬২ টাকা ও প্যাকেট আটার কেজি ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকায়।
রাজধানীর বেশির ভাগ বাজারে কমেছে ডিমের দাম। ফার্মের লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। কিছুদিন আগে লাল ডিমের ডজন ছিল ১২৫-১৩০ টাকা। বেড়েছে হাঁসের ডিমের দাম। ডজনে ১০ টাকা করে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৮০-১৯০ টাকা।
মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা আশরাফ বলেন, ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কম আছে। কিন্তু বেড়েছে হাঁসের ডিমের দাম। বাজারের ডিমের ডজন বিক্রি করছি ১১৫-১২০ টাকায়।
তিনি জানান, শীতকাল আসলে হাঁসের ডিমের চাহিদা একটু বেড়ে যায়। চাহিদা অনুযায়ী ডিমের উৎপাদন ও সরবরাহ কম থাকায় হাঁসের ডিমের দাম বেড়েছে।
বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৮০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকায়। কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা। কেজিতে ১০ টাকা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম।
গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৫০-১৬০ টাকা। কমেছে সোনালি মুরগির দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০-৩০০ টাকা। গত সপ্তাহে কেজি ছিল ৩০০-৩১০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ টাকায়।
মুরগি বিক্রেতা মো. হাসান বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে লেয়ার মুরগি। সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কমেছে। এমনিতে শীতকালে মুরগির উৎপাদন কম থাকায় দাম বাড়ে।
ঢাকার কয়েকটি বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ১২০-১৩০ টাকা।
আদা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা। প্যাকেট চিনির কেজি ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খোলা আটার কেজি ৬০-৬২ টাকা ও প্যাকেট আটার কেজি ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকায়।
এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা। বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা।
আগে এক লিটার তেলের বোতলের দাম ছিল ১৭৮ টাকা। তেলের ৫ লিটারের বোতল আগে ছিল ৮৮০ টাকা। এখন পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৯২৫ টাকায়। লবনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা।
এদিকে, মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে পুঁটি মাছ ২৫০ টাকা, বড় রুই মাছ ৪৫০ টাকা, কাতল মাছ ৪০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০ টাকা, টাকি মাছ ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ টাকা, রূপচাঁদা ৭০০-৮০০ টাকা, বোয়াল ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ ১১০০ টাকা এবং এক কেজির কম ওজনের ইলিশ ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।