দেশের শিল্প কারখানায় জ্বালানি চাহিদা মেটাতে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) নির্ভরযোগ্য সমাধান হতে পারে বলে মত দিয়েছেন বক্তারা।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে তারা এই মত প্রকাশ করেন।

এতে এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (লোব) সভাপতি আজম জে চৌধুরী বলেন, “এলপিজির দাম কম ও যুক্তিসঙ্গত। ফলে নীতিগত সমর্থন থাকলে অপারেটররা এই বিষয়ে চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।”

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের হাইড্রোকার্বন ইউনিট, এলপিজি: বাংলাদেশে শিল্প বিভাগের জন্য একটি বিকল্প শক্তি সমাধান শীর্ষক এই ভার্চুয়াল সেমিনারের আয়োজন করে।

এলওএবি সভাপতি আরও বলেন, যদি সাত শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হয়, তাহলে শিল্প-সহ অন্যান্য খাতে এলপিজির ব্যবহার বাড়াতে হবে। কারণ শুধুমাত্র প্রাকৃতিক গ্যাস ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা গ্যাস সংকটের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শিল্পকে এলপিজি সরবরাহ করে আসছি। এখন, এলপিজির চাহিদা ৩০-৪০ শতাংশ হারে বাড়ছে।

আজম জে চৌধুরী বলেন, এলপিজি সেক্টরের চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে কিছু নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, “নদীপথে বিপুল পরিমাণ এলপিজি পরিবহন করা হয়। ট্যাক্স কিছুটা কাটছাঁট করতে হবে এবং শিল্পকে ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে সিএনজি স্টেশন থেকে গ্যাস সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া বন্ধ করতে হবে।”

এলওএবি সভাপতি বলেন, কম খরচে সরবরাহ নিশ্চিত করতে এলপিজি আমদানির জন্য একটি ডেডিকেটেড গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপন এজেন্ডার শীর্ষে হওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, একটি ডেডিকেটেড গভীর সমুদ্র বন্দর না থাকার কারণে, অপারেটররা পাঁচ হাজার মেট্রিক টনের বেশি ধারণক্ষমতার বড় জাহাজের মাধ্যমে এলপিজি আমদানি করতে পারেন না।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, অতিরিক্ত সচিব হুমায়ুন কবির, বসুন্ধরা এলপিজির হেড অব মার্কেটিং ও ওমেরা পেট্রোলিয়ামের সিইও তামজিম চৌধুরী, হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

জাকারিয়া জালাল বলেন, ডিজাইন ও এর শক্তি খরচের উপর নির্ভর করে কিছু নির্দিষ্ট শিল্পের জন্য এলপিজি উপযুক্ত হতে পারে।

তিনি বলেন, এলপিজি, এলএনজি ও অন্যান্য তরল পেট্রোলিয়ামসহ সকল প্রাথমিক বিকল্পগুলোর জন্য একটি একীভূত মূল্য নির্ধারণের সূত্র থাকা উচিত।

যদি সমস্ত শক্তি বিকল্পের দাম পরিবর্তনশীল হয়, তবে এলপিজি অনেক বেশি টেকসই হবে, তিনি যোগ করেছেন।