Logo
×

Follow Us

অর্থনীতি

বাজারে অভাব নেই, তবুও বেড়েছে মসলার দাম

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২২, ০১:২৫

বাজারে অভাব নেই, তবুও বেড়েছে মসলার দাম

অতিরিক্ত দামেই কিনতে হচ্ছে হেঁসেলের এই পণ্য। ফাইল ছবি

দেশের বাজারে মসলার অভাব না থাকলেও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে অতিরিক্ত দামেই কিনতে হচ্ছে হেঁসেলের এই পণ্য।

বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বছরের অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ঈদে গরম মসলার চাহিদা বেড়ে যায়। ঈদ ঘনিয়ে আসায় এবারো গরম মসলার বাজার বেশ গরম হয়ে উঠেছে। বেশ কয়েকটি মসলার দাম মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।

এদিকে ঈদকে ঘিরে এবার গরম মসলা আমদানিও হয়েছে প্রচুর। 

চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্যমতে, কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে এবার প্রায় ৬০ হাজার টন মসলা আমদানি হয়েছে, যার আমদানিমূল্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া প্রতিবছর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আড়াই লাখ টন বিভিন্ন ধরনের মসলা আমদানি হয় দেশে, যার ৮০ শতাংশই আসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে।

এবারের ঈদের আগে মসলার দাম কেমন এবং সরবরাহ পরিস্থিতি কেমন সে বিষয়ে রাজধানীর প্রধান পাইকারি মসলার বাজার মৌলভীবাজার এবং বেশ কয়েকটি খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এবার বাজারে মসলার কোনো কমতি নেই, তবুও দাম বেড়েছে। বিশেষ করে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেশ কিছু মসলার দাম কেজিতে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

রাজধানীর অন্যতম পাইকারি বাজার মৌলভীবাজারে ভারতীয় জিরা বিক্রি হতে দেখা গেছে প্রতি কেজি ৩৬০-৩৮০ টাকায়। এ ছাড়া আফগানি জিরা ৪০০ টাকা কেজিতে মিলছে। দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩৮০-৪০০, ধনিয়া ১৬০-২০০, তেজপাতা ২২০-২৫০, গোলমরিচ ৭০০-৮০০, সাদাফল (এলাচ) ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ও লবঙ্গ ১ হাজার ৬০ থেকে ১ হাজার ১৮০ টাকায়। আলুবোখারা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি দরে। জায়ফল প্রতিকেজি ৫৮০-৫৯০ এবং জৈত্রী ২ হাজার ৩৮০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি মসলার দামে পাইকারি বাজারের চেয়ে প্রায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেশি। গতকাল রাজধানীর অন্যতম প্রধান খুচরা বাজার কারওয়ান বাজারে প্রতিকেজি নিম্নমানের এলাচ ২ হাজার এবং ভালোমানের এলাচ ২ হাজার ২০০, দারুচিনি ৪২০ থেকে ৪৫০, লবঙ্গ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০, গোলমরিচ ৭০০ থেকে ৮০০, নিম্নমানের জিরা ৪০০, ভালোমানের জিরা ৪৫০-৫০০, চিনাবাদাম ৪০০ থেকে ৪৫০, কিসমিস ৪০০ থেকে ৪৫০, আলুবোখারা ৫০০, জৈত্রী ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০, জায়ফল ৬০০ থেকে ৬৫০, তেজপাতা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা ও ইউসুফ জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. ইউসুফ আলী সময়ের আলোকে বলেন, গত বছরের কোরবানির ঈদের চেয়ে কিছু মসলার দাম এবার কম আবার কিছু মসলার দাম বেশি। যেমন এবার এলাচ, জিরা, দারুচিনির দাম বেশ খানিকটা বেশি। 

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ববাজারে নাকি দাম বেড়েছে। তার জন্য দেশের বাজারেও বেড়েছে। আমরা বেশি দামে কিনে আনছি, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। তবে যেগুলোর দাম কম আছে, আমরা সেগুলো কম দামেই বিক্রি করছি।

এবারের মসলার দাম সম্পর্কে বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও হেদায়াত ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী হাজি এনায়েতুল্লাহ বলেন, পাইকারিতে কোনো মসলার দাম বাড়েনি; বরং কিছুটা কমেছে। অন্যান্য যেকোনো সময়ের ঈদের তুলনায় এ বছর বাজার স্থিতিশীল। অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় এবং বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার কারণে মসলার চাহিদা কমে গেছে। এ ছাড়া মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে মসলার বাজারে। মানুষ যেটুকু খরচ কমানোর চেষ্টা করছে, তার মধ্যে তেল-মসলার ব্যবহার কমানোর চেষ্টা রয়েছে। 

তিনি বলেন, যদিও এবার ডলারের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা কারণে আমদানি খরচ বেড়েছে। সে কারণে মসলা ব্যবসায়ীরা রয়েছেন বিপাকে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫