নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম
আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৭ পিএম
গত ৫ সেপ্টেম্বর সাম্প্রতিক দেশকাল অনলাইনে ‘পাচারের টাকায় সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনী সামিটের আজিজ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনটিকে ভুল বলে আখ্যা দিয়েছে সামিট গ্রুপ। তারা এই প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) একটি ‘প্রতিবাদ লিপি’ প্রেরণ করেছে।
‘পাচারের টাকায় সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনী সামিটের আজিজ’ প্রতিবেদনের সামিট গ্রুপের প্রতিবাদটি নিচে হুবহু প্রকাশ করা হল-
“গত ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে "পাচারের টাকায় সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনী সামিটের আজিজ" শীর্ষক একটি প্রতিবেদন সাম্প্রতিক দেশকাল পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, যা আমাদের নজরে এসেছে।
এ বিষয়ে আমরা স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি যে, পানামা পেপারস একটি 'ওপেন সোর্স ডকুমেন্ট এবং সেখানে মুহাম্মদ আজিজ খানের নাম নেই। যেকোনো ব্যক্তি সহজেই বিষয়টি যাচাই করতে পারেন। অন্যদিকে ফোর্বসের ২০২৪ সালের শীর্ষ ধনীর তালিকায় মুহাম্মদ আজিজ খান সিঙ্গাপুরের ৪১তম ধনী। ফোর্বসের ওয়েবসাইটে স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে, সামিট গ্রুপের বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিকস ও আবাসন খাতের ব্যবসা আছে এবং সামিটের সব সম্পদ বাংলাদেশেই রয়েছে। এছাড়া, জাপানের JERA সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালে ২২% শেয়ারের মালিক, যা বাংলাদেশে সামিটের বিভিন্ন অবকাঠামো সম্পদের একটি পোর্টফোলিও ধারণ করে।
শেয়ার ইস্যুর বিষয়ে বিটিআরসি হতে সামিট কমিউনিকেশনস্ এর পক্ষ থেকে কোনো বিশেষ সুবিধা নেয়া হয়নি। ১০ জানুয়ারি ২০২১ তারিখের বিটিআরসি বিজ্ঞপ্তি নং ১৪.৩২.০০০০.০০৭.৫৬.০০২.১৭.২৫১৯ এর ধারা ১৩ অনুযায়ী, লাইসেন্সধারীদের শেয়ার স্থানান্তর বা নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিক্রয়মূল্যের ৫.৫% ফি প্রদান করতে হয়। আমাদের জানা মতে, এই ফি নতুন শেয়ার ইস্যুর জন্য প্রযোজ্য নয়। তবে, সামিট কমিউনিকেশনস্ ফী সংক্রান্ত এ দাবি পাওয়া মাত্রই ১৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে এটি পরিশোধ করে দক্ষতার সাথে কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনার নিমিত্তে এবং দ্রুততম সময়ে পরিসেবার সুবিধা উন্মুক্ত করার প্রয়োজনে, নতুন শেয়ার ইস্যু কোম্পানির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
উল্লেখ্য যে, সামিট কমিউনিকেশনস সেই তিনটি কোম্পানির মধ্যে একটি যারা সাবমেরিন ক্যাবল লাইসেন্স লাভ করেছে এবং দ্রুততম সময়ে ও সর্বনিম্ন ল্যাটেন্সি সহ সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার প্রত্যাশিত কার্যক্রম উন্মুক্ত করার তারিখ ২০২৬ সালের প্রথম কোয়ার্টার।
সিঙ্গাপুর থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১,২৮৪ কি.মি. শাখা ক্যাবলের সিভিল কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ প্রায় ১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, ফলত ডলার সংকট দেখা দেয় এবং এই ধরনের তহবিলের যোগান বাঁধার সম্মুখীন হয়।
গ্লোবাল এনার্জিস ও সেকোয়া ইনফ্রাটেকের সাথে এই অংশীদারিত্ব কোম্পানির পেইড-আপ ক্যাপিটাল বাড়াতে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ করতে কৌশলগতভাবে তৈরি করা হয়েছে যা স্থানীয় ব্যাংকগুলো সরবরাহ করতে পারছে না। এই সহযোগিতা সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জাতীয় স্বার্থ এবং প্রয়োজনীয়তার জন্য অপরিহার্য।”
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh