‘বিএনপি নয়াপল্টনে কুঠি গেড়ে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করতে চায়’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৩, ১৯:২৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ব্রিটিশরা যেমন কাশিমবাজারে কুঠি গেড়ে উপনিবেশ গড়ে তোলে, সেভাবে বিএনপি নয়াপল্টনে কুঠি গেড়ে বিদেশিদের ষড়যন্ত্রে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে চাচ্ছে।
আজ রবিবার (৩০ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্রলীগের আয়োজিত ‘বিএনপি-জামাতের হত্যা, নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজের বিক্ষোভ সমাবেশ’ শীর্ষক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আজকে বিএনপি যখন সকলভাবেই ব্যর্থ হয়েছে। তখন তারা কিসের আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করল? ব্রিটিশরা উপনিবেশ গড়ার সময় যেমন কাশিমবাজার কুঠি গড়ে ছিল। আজকে নয়াপল্টনে একটা কাশিমবাজার কুঠি গেড়ে জনগণের নেতা, বাংলাদেশ মানুষের আস্থার একমাত্র ঠিকানা, জনগণের বিশ্বস্ত প্রতিনিধি শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করছে। যে কারণে তারা নির্বাচনে যেতে চায় না, কারণ তারা ভালো করেই জানে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে তালবাহানার চেষ্টা করবেন না। কোনো কালো হাত দিয়ে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আক্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ভ্যানগার্ড হয়ে কাজ করবে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপদ শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাব।
ছাত্রলীগ সভাপতি আরও বলেন, গত কয়েকদিন ধরে আমাদের রাজনৈতিক পরিবেশকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আবার রাজনীতিকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা রাজনৈতিক দল, রাজনীতি করি। অন্য রাজনৈতিক দল থাকবে, ডেমোক্রেটিক প্র্যাক্টিস থাকবে, সেটি আমরা চাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করবে, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত থাকবে। একজন তরুণ নেতার এটিই চাওয়া।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, যে দলটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির মতো সন্ত্রাসের স্পনসরশিপ করে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিরোধীদলকে বিনাশ করে দেওয়ার কাজ করেছে। বাইরে থেকে অস্ত্র নিয়ে এনে এদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করেছে। এই বাংলাদেশে তারা মৌলবাদী তাণ্ডব করার চেষ্টা করেছে। তারা ২০০৬ সালে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরি করেছে। আজকে এরা কোন মুখে ভোটাধিকারের কথা বলছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ‘রেসিপি অব ডিজাস্টার’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মূলা আর দেশের মানুষ চায় না। এই ফর্মূলা চোরের মায়ের বড় গলা আগে বলা হতো বুঝানোর জন্য যে, চোর তারেকের মার গলা বড়। কিন্তু এখন বলা হয়, চোরের মহাসচিবের বড় গলা। মির্জা ফখরুল নামে একজন শিক্ষক হলেও তিনি দুর্নীতিবাজ, রাজাকারদের দালাল হিসেবে কাজ করছেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, বিদেশিরা আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে- এটা কি আমাদের জন্য সম্মানজনক? কখনোই না। আমাদের আত্মমর্যাদা নিয়ে কেউ মশকরা করবে তা হয় না। আমরাই আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবো।
বিক্ষোভ সমাবেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ হিল বারীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন। এছাড়াও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।