জাবি সিনেট নির্বাচন: শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ইশতেহার ঘোষণা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:৩৪

শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আগামী ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন ও ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশ নিয়ে গঠিত জোট “শিক্ষক ঐক্য পরিষদ”।
আজ রবিবার (৮ অক্টোবর) বিকাল তিনটায় ক্যাফেটেরিয়ার লাউঞ্জে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে “শিক্ষক ঐক্য পরিষদ” তাদের ১৩ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ইশতেহার পাঠ করেন অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
ইশতেহারে শিক্ষকগণের গবেষণার সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বার্ষিক গবেষণা ফান্ড গঠন করে প্রত্যেক শিক্ষকের জন্য গবেষণা খাতে নিয়মিত বরাদ্দ নিশ্চিত করণ, অস্থায়ী পদে কর্মরত সম্মানিত সহকর্মীদেরকে স্থায়ী পদে পদায়ন করা, সম্মানিত শিক্ষকগণের পদোন্নতি নীতিমালা যুগোপযোগী করা ও শর্ত পূরণের দিন থেকেই স্বীয় পদে স্থায়ীকরণ নিশ্চিত করা, উচ্চ-শিক্ষার্থে বিদেশে অবস্থান করা সম্মানিত শিক্ষকদের সকল প্রকার ন্যায্য সুবিধা নিশ্চিত করা, তরুণ শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়নে পূর্বের ন্যায় শিক্ষাবৃত্তি প্রচলন এবং IELTS, TOEFL, GRE, GMAT ইত্যাদি পরীক্ষার ফির পরিপূর্ণ ব্যয়ভার বহন করা, শিক্ষকদের পুস্তক ও গবেষণা ভাতা যৌক্তিক পর্যায়ে বৃদ্ধি করা, সকল বিভাগে প্রয়োজনীয় শ্রেণীকক্ষ ও কর্মরত নবীন শিক্ষকদের কর্মপরিবেশ উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় স্থান সংকুলানসহ আসবাবপত্র ও শিক্ষা সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা, অতিসত্বর জীববিজ্ঞান অনুষদ, বাণিজ্য অনুষদ, আইন অনুষদ, আইবিএ ও আইআইটি ভবন নির্মাণে কার্যকর ভূমিকা রাখা এবং বিভিন্ন অনুষদের একাডেমিক ভবনগুলোর অসম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্নকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দল-মত নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীর সহবস্থান নিশ্চিত করা ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে মাদক সেবন ও মাদক বিপণনের পরিবেশ থেকে মুক্ত করা, নবনির্মিত শিক্ষার্থী হলসহ বিভিন্ন ভবনের উন্নত প্রযুক্তির সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা, কম্পিউটার ক্রয় বাবদ প্রদেয় ঋণ প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে শিক্ষকগণের সংখ্যা কয়েক গুণ বৃদ্ধি করা, যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে যৌন নিপীড়নের সকল অভিযোগের নিষ্পত্তি করা, উন্নয়ন প্রকল্প ও সমাবর্তনের আয়-ব্যয়ের হিসাবসহ সকল আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, মেয়াদোত্তীর্ণ সকল বিধিবদ্ধ পর্ষদের নির্বাচন সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেন।
এছাড়াও লিখিত বক্তব্যে বক্তারা উপাচার্যের বিরুদ্ধে চরম উদাসীনতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের অভিযোগ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সংগঠন ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষক পরিষদের’ আহবায়ক অধ্যাপক মোতাহার হোসেন, সদস্য অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, বিএনপিপন্থী শিক্ষক অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহছান, অধ্যাপক শামছুল আলম, অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার, অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক মাসুদা পারভীন, সহযোগী অধ্যাপক আমিনা ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল রকিব প্রমুখ।