Logo
×

Follow Us

ক্যাম্পাস

জাবিতে চারুকলা ভবনের কাজ শুরু, শিক্ষার্থীদের বাধা

Icon

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১৮:৩৬

জাবিতে চারুকলা ভবনের কাজ শুরু, শিক্ষার্থীদের বাধা

ভবন নির্মাণের নির্ধারিত স্থান ঘিরে রাখার জন্য লাগানো টিনগুলো খুলে ফেলেন শিক্ষার্থীরা।

মাস্টারপ্ল্যান ছাড়াই পুনরায় গাছ কেটে চারুকলা অনুষদের ভবন নির্মাণ কাজ শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন। 

এ লক্ষ্যে নির্ধারিত ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য নির্ধারিত জায়গার চারপাশে টিন দিয়ে ঘেরাওয়ের কাজ শুরু করলে বাধা দেয় দীর্ঘদিন ধরে মাস্টারপ্ল্যানের দাবিতে আন্দোলন করে আসা শিক্ষার্থীরা।

আজ শনিবার (১৮ মে) সকালে কাজ বন্ধ করে দেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ভবন নির্মাণের নির্ধারিত স্থান ঘিরে রাখার জন্য লাগানো টিনগুলো খুলে ফেলেন। 

এ শিক্ষার্থীরা জানায়, দীর্ঘদিন যাবত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যখন উদ্যোগ নিয়েছে, ঠিক এই সময়ে ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হলে তা মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। প্রকল্প পরিচালক কতটুকু জায়গা জুড়ে ভবন নির্মাণ হবে তার কোনো হিসাব দিতে পারেননি। প্রথমদিকে বাস্কেটবল কোর্টের একটু অংশ ভবনের মধ্যে পড়বে বললেও লেকের ধার পর্যন্ত ভবন নির্মাণের জন্য ঘিরে ফেলা হচ্ছে। ফলে নির্ধারিত জায়গার বাইরে থাকা ঘন জঙ্গল ও গাছপালাগুলো কাটা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া নির্ধারিত স্থানের পাশেই রয়েছে একটি লেক। প্রতিবছর শীতের সময়ে দেশ-বিদেশ থেকে অন্যান্য লেকের মতো এতেও পরিযায়ী পাখি আসে। ওইস্থানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পরিযায়ী পাখির নিরাপদ আবাসস্থল।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবন নির্মাণ কাজের ব্যারিকেড দেওয়ার জন্য উত্তর পাশের পুরো খালি জায়গাটিতে লোহার খুঁটি স্থাপন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পূর্ব পাশ থেকে একটি অংশে টিন দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। তবে শনিবার সকালে শিক্ষার্থীরা টিনের বেড়াগুলো খুলে ফেলেছে। খুলে ফেলা টিনগুলো খুঁটির পাশেই পড়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া পূর্ব পাশের টিন  ও খুঁটি স্থাপনের জন্য যে স্থানটি পরিষ্কার করা হয়েছে তা একেবারেই লেক ঘেঁষে। এছাড়া উক্ত স্থানটির ভিতরে ঘন গাছপালা সমৃদ্ধ একটি জঙ্গলও রয়েছে।

কাজে বাধা দেওয়ার সময় উপস্থিত নাটক ও নাট্যতত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগি সামিয়া বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই মাস্টারপ্ল্যানের দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। প্রকল্পের পরিচালককে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছি। কিন্তু তিনি তা করেননি। তাই আমরাও কাজে বাধা দিয়েছি। মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত কোনো কাজ করতে দেওয়া হবে না।’ 

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি আলিফ মাহমুদ বলেন, ‘আল বেরুনী এক্সটেনশনে এর আগেও প্রশাসন হল করার পাঁয়তারা করেছিল। আমরা তা রুখে দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে যত্রতত্র অপরিকল্পিত ভবন হওয়ায় গত তিন দশকে ২৮ শতাংশ জলাশয় এবং স্থলভূমি নাই হয়ে গেছে। এই জায়গাটিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক গাছ আছে। পাশের যে লেক আছে বড় ভবন হলে তা পরিযায়ী পাখির জন্য অনিরাপদ হবে। নতুন কলার এক্সটেনশন হলে এবং লেকচার থিয়েটার হলের কাজ শেষ হলে শ্রেণীকক্ষ সংকটের সুযোগ নেই। তাই মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া আমরা ভবন হতে দেবো না।’ 

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক ও চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ময়েজউদ্দীন বলেন, ‘আমি শুনেছি শিক্ষার্থীরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আমি তাদের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো। সেখানে যাচ্ছি। আমাদের কাজ চলমান থাকবে। তাদের সাথে কথা বলে দেখি।’ 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫