
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম' প্রত্যাহারের দাবিতে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দশম দিনের মতো শিক্ষকরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেনঅ। ছবি: সংগৃহীত
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম'এর প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারসহ ৩ দফা দাবিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক সমিতির মোর্চা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দশম দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। তবে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের কারণে এই আন্দোলন নিয়ে তেমন আলোচনা নেই। তবে হাল ছাড়েছেন না পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষতরা হাল ছাড়ছেন না। তাদের ভাষ্য, দাবি আদায় করেই তবে কর্মস্থলে ফিরবেন তারা।
আজ বুধবার (১০ জুলাই) সর্বাত্মক কর্মবিরতির দশম দিনে বেলা ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত এক ঘন্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সদস্যরা। এসময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেন তারা।
গত ১ জুলাই থেকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তবে দাবির পক্ষে এখনও সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলনে সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
এদিকে অবস্থান কর্মসূচীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, অনেকে আমাদের আন্দোলনকে নিয়ে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা দিচ্ছে। আমরা বলে দিয়ে চাই, সরকারের বিরুদ্ধে নয়, সরকারের হাতকে শক্তিশালী করার জন্যই এ আন্দোলন তিনি বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আছি। আমরা আপনার!
কবে ক্লাস রুমে ফিরবেন এমন প্রশ্নের জবাবে জিনাত হুদা বলেন, এ প্রশ্নের উত্তর একমাত্র অর্থমন্ত্রণালয়ের কাছেই। শিক্ষক সমাজের কাছে এ প্রশ্নের উত্তর নেই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
তিনি বলেন, আমরা ক্লাস রুমে ব্যস্ত সময় পার করছিলাম, আমরা একটি স্থিতিশীল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম, হঠাৎ করেই আমাদেরকে কারা এমন অবস্থায় নিয়ে এসেছে? এ প্রশ্নের উত্তর আপনারা প্রশাসনের কাছেই আছে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, আপনারা যখন কাউকে মিডিয়াতে ডাকবেন, তারা যেন শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোন কথা না বলেন। এগুলো আমাদের আত্মসম্মানে লাগে। আপনারাও একসময় শিক্ষার্থী ছিলেন।