ক্লাসে ফিরছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, দাবিতে অনড় কর্মকর্তা-কর্মচারী

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ২১:২৩
-6693ed8221587.jpg)
সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। ছবি: ঢাবি প্রতিনিধি
প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিসহ তিন দফাতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। গত শনিবার এ নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক হলেও দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে ফিরছেন না। যতক্ষণ না পর্যন্ত দাবি বাস্তবায়ন হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আলোচনা এবং সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলমান থাকবে।
আজ রবিবার (১৪ জুলাই) রাতে বিষয়টি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, একই সঙ্গে আলোচনা এবং যেই সর্বাত্মক কর্মবিরতি রয়েছে সেটি চলমান থাকবে।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের সভাপতি মো. আব্দুল মোতালেব বলেন, আমাদের দাবি প্রত্যয় স্কিম বাতিল করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই দাবি মেনে নেওয়া না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলতে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, গত শনিবার শিক্ষকদের সঙ্গে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। অথচ এই বিষয়টি আমরা জানতামই না। তাছাড়া এখন পর্যন্ত সরকারের কোন পক্ষের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়নি। বর্তমানে যে প্রত্যয় স্কীম চালু হয়েছে, এটি প্রত্যাহারে আমরা কোন পক্ষের থেকেই আশ্বাস পাইনি। আমরা আশ্বাস চাই।
বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি মহিউদ্দীন খন্দকার বলেন, সরকারের সঙ্গে আমাদের সংলাপ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলমান থাকবে। সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দাবির বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে গত ২০ মে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। তার ধারাবাহিকতায় ২৬ মে বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে মানববন্ধন করেন শিক্ষকরা। এরপর ২৮ মে দুই ঘণ্টা এবং ২৫-২৭ জুন তিনদিন সারাদেশে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। পরবর্তী সময়ে ৩০ জুন পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করা হয় এবং ১ জুলাই থেকে থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু হয়।