Logo
×

Follow Us

ক্যাম্পাস

ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা চেয়ে পদ হারালেন ছাত্র সংসদ নেতা

Icon

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৫, ১১:২০

ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা চেয়ে পদ হারালেন ছাত্র সংসদ নেতা

গোলাম কিবরিয়া অপু। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহের সুযোগ করে দিতে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া অপুর বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগের পর তার পদ স্থগিত করেছে সংগঠনটি।

শুক্রবার রাত পৌনে একটার দিকে সংগঠনটির সদস্য সচিব জাহিদ আহসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে গোলাম কিবরিয়া অপুকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে এক কার্যদিবসের মধ্যে আহ্বায়ক বরাবর সদুত্তর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত অপু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

গণ অধিকার পরিষদের নেতা রাশেদ খান এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে গোলাম কিবরিয়া অপুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনেন। সেই স্ট্যাটাসে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা করা এক তরুণ তার কাছে অভিযোগ করেছে, গোলাম কিবরিয়া অপু বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ইন্টারনেট সরবরাহ সুযোগ করে দেওয়ার বিনিময়ে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছেন। শেষমেষ ৩০ হাজার টাকার কমে ইন্টারনেট সরবরাহ সম্ভব নয় বলে জানান। এর প্রমাণ রাশেদ খানের কাছে আছে বলেও জানান তিনি।

স্ট্যাটাসে রাশেদ খান আরও বলেন, আমি অপুর বিষয়টি গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জাহিদ আহসানকে অবহিত করি এবং যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করি। আশা করি সংগঠনটি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে। এরপর অপুর পদ স্থগিত করা হয়।

চাঁদা দাবির বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অপুর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। ‘চাঁদাবাজের ঠিকানা এই হলে হবে না’সহ নানা স্লোগান দেয় তারা।

জানা যায়, কয়েকজন শিক্ষার্থী অপুকে খুঁজতে তার রুমে গেলেও ওই সময় অপু ছিলেন না। অবস্থা বেগতিক দেখে হলের প্রাধ্যক্ষ অপুকে উদ্ধার করে। পরে হল প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের মোবাইল টিমের সহযোগিতায় তাকে থানায় সোপর্দ করে।

থানায় যাওয়ার আগে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন অভিযুক্ত অপু। সেখানে তিনি দাবি করেন, ৩০ হাজার টাকার যে কথা বলা হচ্ছে, সেটি চাঁদাবাজির নয় বরং হলে ব্যবসা করার জামানত ফি হিসেবেই এটি দিতে তিনি ওই ব্যবসায়ীকে পরামর্শ দিয়েছেন। রাজি হলে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হল প্রশাসনের কাছে তিনি প্রস্তাব দিতেন। আর সেই টাকা হল ফান্ডেই যেত বলে জানান অপু।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫