জাবিতে সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনায় উপাচার্যপন্থি শিক্ষকদের দুঃখ প্রকাশ

প্রতিনিধি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৯:৫০

ছবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বাবদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে
প্রকল্পের টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও মহাপরিকল্পনা সংস্কারের
দাবিতে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের
কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে, দুপুর আড়াইটায় নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলন
করেন উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরা। সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবিকে ‘মিথ্যা
ও কল্পিত’ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপাচার্যপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু
শিক্ষক পরিষদ। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে গত ২২ আগস্ট উপাচার্য কর্তৃক সাংবাদিক লাঞ্ছনার
ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এসব শিক্ষক নেতারা।
‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য
পাঠ করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শোভন রহমান।
তিনি বলেন, ‘একনেকে পাশ হওয়া ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর
নয়, এই টাকা রাষ্ট্রের সকল জনগণের। এই টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দেয়া
হয়েছে। তাই উপাচার্যের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে উপাচার্য তা শুধু প্রতিবাদ
জানানোর মধ্য দিয়ে দায় এড়াতে পারেন না।’
এ সময় তারা দাবি করেন গণমাধ্যমে লুটপাটের যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে
আমাদের আন্দোলন সম্পূর্ণ যৌক্তিক। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ,
সেক্ষেত্রে তিনি এটার কোনো তদন্ত করতে পারেন না। তাই আমরা এই দুর্নীতির ঘটনার বিচার
বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি।’
সংবাদ সম্মেলন শেষে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে গানের মিছিল’ করেন আন্দোলনকারী
শিক্ষার্থীরা। এ সময় আন্দোলনের সমর্থন কামনা করে নানা ধরনের গান পরিবেশন করা হয়।
অন্যদিকে, উপাচার্যপন্থি শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ
করেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক বশির আহম্মেদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় মনোনীত স্থপতি
ও পরিকল্পনাবিদদের বিশেষজ্ঞ দল কর্তৃক মাস্টারপ্লানসহ উন্নয়ন পরিকল্পনার নানা দিক উপস্থাপন
করা হয়েছে। তাই এই উন্নয়ন পরিকল্পনাকে অপরিকল্পিত বলার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্মাণ কাজে বিঘ্ন ঘটানোর জন্য আন্দোলনকারীরা প্রবল
বৈরি রাজনৈতিক মতাদর্শের জোট করে অপরিকল্পিত উন্নয়নের তকমা লাগিয়ে নির্মাণ কাজে বাধা
দিচ্ছে।’
অধ্যাপক বশির আরও বলেন, ‘যারা কল্পিত মনগড়া অভিযোগ উত্থাপন করে বিশ্ববিদ্যালয়কে
অস্থিতিশীল করতে চান তারা আর যাই হোক বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষক বান্ধব হতে পারেন না।’