২১ বর্ষে পা দিচ্ছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

পবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২১, ২০:০৩

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বরিশাল বিভাগের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি)। ২০০০ সালের ৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালী কৃষি কলেজকে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উদ্বোধন করেন। তখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পথচলা শুরু করে পবিপ্রবি।
আগামীকাল ৮ জুলাই, বৃহস্পতিবার ২১ তম বছরে পদার্পণ করবে পবিপ্রবি। করোনা মহামারির কারণে এবার একটু ভিন্ন রকমভাবে উদযাপন করা হবে পবিপ্রবির ২১ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। ৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক নোটিশে ২১ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস সীমিত আকারে উদযাপন উপলক্ষে একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
কর্মসূচিতে বলা হয়েছে- ৮ জুলাই সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও ম্যুরালে ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয় পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এছাড়াও সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১.১৫ মিনিট পর্যন্ত হবে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হবে।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব সুজন কান্তি মালির সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ২০০০ সালে দক্ষিণবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আত্মপ্রকাশ করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দক্ষিণবঙ্গের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন নবযৌবন চলছে। আগামীকাল ৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ তম 'বিশ্ববিদ্যালয় দিবস'। অত্যন্ত আনন্দের একটা দিন। ইতোপূর্বে দিনটি আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপন করলেও বর্তমান প্যানডেমিক সিচুয়েশনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনা মেনেই আয়োজন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আয়োজনের অংশ হিসেবে সকাল ১০ টায় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও ম্যুরালে ভাইস-চ্যান্সেলরের পুষ্পস্তবক অর্পণ। এরপর সকাল ১১ টা থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকল শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করছেন, শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন, অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে কথাবার্তা চলছে এবং দ্রুতই পরীক্ষা বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
একটা আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় গড়া, ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেখে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করেছে এবং কাজ করে যাবে 'বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে' আমাদের অঙ্গীকার। দেশের উন্নয়নে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে পবিপ্রবি প্রশাসন সর্বদা কাজ করে যাবে।
এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্তকে বিচক্ষণতার সাথে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত করার ভূস্বামী প্রশংসা করেন। তাঁর হাত ধরে বিশ্ববিদ্যালয় অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা করেন।
পরিশেষে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়ন ও ভালো পরামর্শক হিসেবে পবিপ্রবি প্রশাসনের পাশে পবিপ্রবি রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে আহ্বান করেন। সকলের সহযোগিতায় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক দেশ ও মানুষের কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে চান।