সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় শাস্তির দাবি ঢাবি নীল দলের

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২১, ২১:৩৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
দেশের কয়েকটি স্থানে পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) দলটির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ এবং যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। একইসাথে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং প্রয়োজন হলে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর বিরুদ্ধে নতুন আইন প্রণয়নের আহ্বান জানায় নীল দল।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ ‘অবমাননার ঘটনাকে’ কেন্দ্র করে প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক চক্র বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অশান্ত করে ঘোলা জলে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, চট্টগ্রাম নগরের ঐতিহাসিক জেএমসেন হল, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জসহ দেশের কয়েকটি স্থানে পূজামণ্ডপে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গণমাধ্যমের বিভিন্ন খবর বিশ্লেষণ করে এ কথা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়, আন্দোলন-সংগ্রামের নামে বিভিন্ন সময়ে হরতাল-ধর্মঘট ও অগ্নিসন্ত্রাস করে রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ এবং জনবিচ্ছিন্ন হয়ে একটি দল এবং তাদের দোসর সাম্প্রদায়িক প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী সুপরিকল্পিতভাবে প্রথমে পূজামণ্ডপে ইসলামের পবিত্র মহাগ্রন্থ আল কোরআন শরীফ রেখে আসে এবং সেই খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার অপচেষ্টা চালায়।
রাজনীতির মাঠে চরমভাবে ব্যর্থ এ রাজনৈতিক দল এবং তাদের সহযোগী ধর্মান্ধ গোষ্ঠী নামে-বেনামে ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচারের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে পূর্ব পরিকল্পিত উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়ে এতে বলা হয়, আমরা এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সাথে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জন্য সরকারে কাছে জোর দাবি করছি। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং প্রয়োজন হলে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর বিরুদ্ধে নতুন আইন প্রণয়নের আহ্বান জানাচ্ছি।