ওয়েবপেজে চবি উপাচার্যকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট, প্রশাসনের নিন্দা

চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২২, ১১:৩৭

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারকে নিয়ে একটি ওয়েবপেজে আপত্তিকর পোস্টের নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল রবিবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য) দিবাকর বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘১৯ মার্চ ২০২২ তারিখ CU Dark Memes নামে একটি ওয়েবপেজে চবি সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ শিক্ষক লাউঞ্জের টেবিল বয় মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারকে নিয়ে কে বা কারা একটি কাণ্ডজ্ঞানহীন পোস্ট আপলোড করেছে। এ বিষয়টি চবি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত আপত্তিকর, অসম্মানজনক, নীতি-আদর্শ বহির্ভূত ও অবিবেচনা প্রসূত।’
এতে আরো বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ নির্বাহীর বিষয়ে এ ধরনের অনাকাঙ্খিত পোস্টটির আপলোডকারীকে খুঁজে বের করে দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল ইসলাম বলেন, একজন সম্মানিত মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করে আপত্তিকর পোস্ট দেয়া আমি রুচিকর মানুষের কাজ বলে মনে করি না। এটা যাতে ভবিষ্যতে না হয়, মানুষকে যেন মানুষ ভাবা হয় সেজন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে। এটা একটা সচেতনতামূলক নোটিশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি করে থাকে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একজন শিক্ষককে যদি শিক্ষার্থীরা সম্মান না দেয় তাহলে এটা তো ঠিক না। যতই ক্ষোভ থাকুক এটা তো বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রশাসনের কাউকে জানানো উচিত ছিল বলে আমি মনে করি।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) চবি সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ শিক্ষক লাউঞ্জের টেবিলবয় মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ১৯ মার্চ ‘CU Dark Memes’ নামে একটি ওয়েব পেজে এসব আপত্তিকর, অসম্মানজনক, নীতি-আদর্শ বহির্ভূত পোস্ট দেওয়া হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রকৃত বিষয়টি হচ্ছে উক্ত কর্মচারী দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষক লাউঞ্জে টেবিল বয় হিসেবে সম্মানিত শিক্ষকদের সেবা দিয়ে আসছেন এবং তার চাকরিও বর্তমানে শেষ পর্যায়ে। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে তার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে বাইরে কোনো কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করতে অপারগতা প্রকাশ করে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মহোদয় বরাবরে লাউঞ্জ ব্যবহারের অনুমতি প্রার্থনা করেন। ডিন মহোদয় মানবিক কারণ বিবেচনা করে অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দকে আপ্যায়নের জন্য শুধুমাত্র লাউঞ্জ ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করেন। কিন্তু অডিটরিয়াম ব্যবহারের কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর হবার পর ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উক্ত অনুষ্ঠানের সময় মাননীয় উপাচার্য মহোদয় চিকিৎসার জন্য ভারতে অবস্থান করছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ নির্বাহীর ব্যাপারে এ ধরনের অনাকাঙ্খিত পোস্টটির আপলোডকারীকে খুঁজে বের করে দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে।’