সিগারেট খেতে নিষেধ করায় সাংবাদিককে মারধর ছাত্রলীগ নেতার

রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২২, ০৯:৫৯

আহত সাংবাদিক শাহাবুদ্দিন ইসলাম। ছবি : রাবি প্রতিনিধি
টিভি রুমে সিগারেট খেতে নিষেধ করায় অনলাইন পোর্টাল বিডি মর্নিংয়ের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রতিনিধি শাহাবুদ্দিন ইসলামকে মারধর করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
গতকাল রবিবার (২৯ মে) দিবাগত রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখস হলের টিভি রুমে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহতাবস্থায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে পাঠানো হয়।
অভিযুক্তরা হলেন- মাদার বখশ হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গিয়াসউদ্দিন কাজল ও অয়নসহ ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মী। কাজল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (রাবিসাস) সদস্য ও বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টিভি রুমে আইপিএল খেলা দেখার সময় কাজল ধুমপান করছিল। তখন শাহাবুদ্দিন তাকে নিষেধ করলে সেখানে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে কাজলসহ কয়েকজন শাহাবুদ্দিনকে মারধর শুরু করে।
এই ঘটনার দুই ঘণ্টা পার হওয়ার পরেও ওই হল প্রাধ্যক্ষ ড. মো. শামীম হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি। বার বার তাকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এদিকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে হল প্রাধ্যক্ষকে অব্যাহতি, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অভিযুক্তদের বহিষ্কার ও পরবর্তীতে কোনো শিক্ষার্থীর সাথে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেটার একটি সুষ্ঠু সিদ্ধান্তের দাবি জানিয়েছে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
পরে রাত ২টার দিকে একদিনের মধ্যে এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক ও ছাত্র উপদেষ্টা মো. তারেক নূরসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমি ব্যস্ত আছি, এখন যেতে পারব না। পরে বিষয়টি দেখছি।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, সোমবার (৩০ মে) অফিস সময়ের শুরুতেই এ বিষয়ে হল প্রশাসনের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বসবেন। এটার দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হওয়া দরকার এবং তোমাদের যে তিনটি দাবি রয়েছে সেগুলো আলোচনা করে সুষ্ঠু সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে৷