ড্রেন নির্মাণে ডিএসসিসির খোড়াখুড়ি, ভেঙে পড়লো জবির সীমানা প্রাচীর

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২২, ১০:৪৯

জবির সীমানা প্রাচীরের বড় একটি অংশ ধসে পড়েছে। ছবি : জবি প্রতিনিধি
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করোরেশনের (ডিএসসিসি) ড্রেন নির্মাণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের খোঁড়াখুঁড়িতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সীমানা প্রাচীরের বড় একটি অংশ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে।
এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও বিপাকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা। সন্তান-পরিবার নিয়ে থাকা ও আসবাবপত্র সরানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
শাঁখারিবাজারের রাস্তা সংলগ্ন সীমানা প্রাচীর গতকাল সোমবার (৬ জুন) বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে শুরু করে এর সীমানা প্রচীরের পুরো অংশের বাইরে ড্রেনের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা বিগত এক সপ্তাহ ধরে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শুরু করে। প্রধান ফটক ও রাস্তা সংলগ্ন অংশে ভাঙন দেখা না দিলেও শাঁখারিবাজার রাস্তার পাশের অংশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ও কর্মচারীদের ডরমিটরির একাংশ ভেঙে পড়ে। সেখানে ড্রেনের পানিতে ঘরের আসবাবপত্র ডুবে থাকতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিকেলে শ্রমিকরা কাজ করার সময় হঠাৎই সীমানা প্রাচীরের দেয়াল ভেঙে পড়তে শুরু করে। এসময় তারা দ্রুত সেখান থেকে সড়ে যাওয়ায় কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে বেশ কয়েকজন হালকা আহত হয়েছেন।
কর্মচারীরা বলেন, বিকেলের দিকে দেয়াল ও ঘর ভেঙে পড়ে। ভাঙার সময় কেউ ঘরে ছিল না, তাই হতাহত হয়নি। তবে ড্রেনের পানিতে অনেক জিনিসপত্র পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়াও বাকি জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
এদিকে ঘটনা বর্ণনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল জানান, শাখারীবাজার সংলগ্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩০০ গজ সীমানা প্রাচীরসহ কর্মচারীদের ঘর ভেঙে পড়েছে। ঘটনার পর পরই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকদের ডেকে পাঠানো হয়। ধসে যাওয়ার সময় সবাই ঘরের বাইরে ছিল বলে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
দুঃখ প্রকাশ করে সিটি করপোরেশনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ প্যারিশ বলেন, আমরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য অনুতপ্ত। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখেছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে আসতে বলা হয়েছে। তারা আসলে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এই কাজের ঠিকাদার সোহেল মিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা খুব দ্রুতই নতুন করে দেয়াল করে দেব।