চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২২, ১৯:৪২

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে শাটল ট্রেনে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকাল সাতটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
ওই ছাত্রী তার নিজস্ব ফেসবুক পেজে ঘটনার বর্ণনা দেন। তিনি লিখেন, ‘‘আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। আজকে ২৮ জুন সকাল ৭:১০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনে ২য় বগিতে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। আজ সকাল ৭:৩০ টার ট্রেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে গমনের উদ্দেশ্যে সকাল ৭:০০ টার দিকে ২য় বগিতে উঠি। বগিতে সামনের দরজার কাছাকাছি দুইজন বহিরাগত ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। আরেকজন বগিতে হাঁটাহাঁটি করছিল। তার উদ্দেশ্য অসৎ অনুমান করে আমি ৭ঃ০৫ মিনিট আমার সহপাঠীকে ফোন করি, পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করে দ্রুত আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করি, কিন্তু ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। ঠিক সেই মুহূর্তই যে বর্গিরাগত হাঁটাহাঁটি করছিল তিনি আমার মুখ চেপে ধরে। আমার বুকে হাত দেয়, সামনে থেকে দুই হাত দিয়ে চেপে ধরে। আত্মরক্ষার্থে আমি তাকে লাথি মারি এবং চিৎকার করি। ঠিক ওই মুহূর্তে লোকটি তার হাত আমার মুখ থেকে সরিয়ে নেয়। তখন আমি চিৎকার করি, তখনই বগি থেকে লোকটি দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন সামনে যে দুইজন ঘুমন্ত ছিল আমার চিৎকার শুনে লোকটিকে ধরতে যায়। আমি ট্রেন থেকে নেমে চিৎকার করতে থাকি। তখন স্টেশনে অবস্থানরত একজন আমাকে জানায় যে লোকটিকে ধরা হয়েছে। লোকটিকে ৮নং এ প্ল্যাটফর্মে ধরা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টার ট্রেনের প্ল্যাটফর্মের সামনে লোকটিকে আনা হয়। লোকটিকে রেলওয়ে পুলিশের লোকজন মারধর করেন। আমি ভিডিও ধারণ করার সময় পুলিশ আমাকে বাধা দেয়। তারপর লোকটিকে রেলওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় কর্মরত কোনো অফিসার ছিল না। তাদের ফোন করে আনা হয়। পুলিশ আমার লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করবে বলে নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর জিজ্ঞেস করেন। এরপর পুলিশ আমাকে ঘটনাটির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাতে নিষেধ করেন এবং পুলিশের ভাষ্য মতে, ‘এতে আপনার মানহানি হতে পারে। এই ব্যাপারে আপনার সিক্রেসি মেন্টেইন করা উচিত। এটা আপনার মান-সম্মানের ব্যাপার।’ তারপর তারা আমাকে এজহার করে যেতে বলেন কিন্তু পরবর্তীতে আমার থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ বা স্বাক্ষর নেয়নি। আমি একই দিনে অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করি। প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর উনারা আমাদেরকে গিয়ে মামলা করে আসতে বলেন।’’
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়ে থানায় ওসির সাথে কথা বলি।ওখানে ভুক্তভোগীও আছে। রেলওয়ে থানায় আমরা আমাদের একজন সহকারী প্রক্টরকে সাথে সাথে পাঠাই।তার বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।