ফেসবুকে অপপ্রচার: উপাচার্যের কাছে বিচার চাইলেন জবির ডিন

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০১

অধ্যাপক আবু সালেহ সেকেন্দার। ছবি: জবি প্রতিনিধি
ফেসবুকে পোস্ট মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু সালেহ সেকেন্দারের বিরুদ্ধে উপাচার্য বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন।
আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বরাবর অভিযোগ দেন তিনি।
অভিযোগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আমার বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে পিএইচডি কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য হওয়ার অভিযোগ এনে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবু সালেহ সেকেন্দার ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেই পোস্টের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন পত্রিকাতেও সংবাদ পরিবেশন করানো হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে, আমি ওই বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের পিএইচডি কমিটির একটি উন্মুক্ত সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছিলাম। আমন্ত্রিত হলে সামাজিক, কলা, আইন ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ আয়োজিত ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ সেমিনারে যাওয়ার চেষ্টা করি। আবু সালেহ সেকেন্দার অভিযোগ করেছেন যে, আমি ওই পিএইচডি কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে যুক্ত ছিলাম; যা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। এতে আমার সম্মান ও পেশাগত মর্যাদাহানি হয়েছে। একজন ডিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাকেও ক্ষুণ্ণ করেছেন বলে মনে করি।
অভিযোগপত্রে তিনি আরো বলেন, এর আগেও তিনি (সেকেন্দার) আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিভিন্ন মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছেন, যা সাবেক উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলাম। সেকান্দারের যথাযথ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। এদিকে খতিতে দেখা যায় অভিযুক্ত শিক্ষক সালেহ সেকেন্দারের ফেসবুক পোস্টের সত্যতা মেলেনি। পিএইচডি সেমিনারের তিন সদস্যের মূল্যায়ন কমিটিতে তিনি ছিলেনই না।
উল্লেখ্য, এর আগেও আবু সালেহ সেকান্দার বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার, বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, ক্লাসে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি এবং শিক্ষার্থীদের অপমান-অপদস্থসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের অ্যাকাডেমিক সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।