Logo
×

Follow Us

শিক্ষা

জবির আধুনিক ক্যাম্পাসের কাজ তাড়াতাড়ি শুরু হবে: প্রধানমন্ত্রী

Icon

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৪, ১৯:৩০

জবির আধুনিক ক্যাম্পাসের কাজ তাড়াতাড়ি শুরু হবে: প্রধানমন্ত্রী

বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: জবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আধুনিক সুযোগ-সুবিধা-সম্পন্ন নতুন ক্যাম্পাসের কাজ তাড়াতাড়ি শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শনিবার (২৫ মে) সকালে বঙ্গবাজারে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জগন্নাথ একটা স্কুল ছিল। প্রাইমেরি স্কুল, প্রাইমারি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক হয়, তারপর কলেজ হয়, এখন বিশ্ববিদ্যালয়। এতটুকু জায়গা, বিভিন্ন জায়গায় ছড়ানো-ছিটানো হোস্টেল। সেজন্য সবকিছু এক জায়গায় করে, একটা ভালো ক্যাম্পাস এবং আধুনিক সব সুবিধাসম্পন্ন, সেখানে ছাত্রদের আবাসস্থল, ছাত্রীদের আবাসস্থল, শিক্ষকদের আবাসস্থল, শিক্ষার জন্য আধুনিক, সুন্দর, প্রযুক্তি দিয়ে একটা ক্যাম্পাস তৈরি করা।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ইতোমধ্যে জায়গা দেওয়া হয়েছে, ডিজাইনও করা হয়েছে। সেই কাজও আমরা খুব তাড়াতাড়ি শুরু করব। সেভাবে নতুন ক্যাম্পাস আমরা করে দেব; যাতে করে ছেলেমেয়েরা একটা সুস্থ পরিবেশে লেখাপড়া করতে পারে; সেদিকে নজর রেখে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আবাসিক হলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মাসব্যাপী আন্দোলনের মুখে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনের সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, আবাসন ব্যবস্থা, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, ক্যাফেটেরিয়া, খেলার মাঠ, চিকিৎসাকেন্দ্র, সুইমিংপুল, লেক নির্মাণসহ উন্নতমানের ক্যাম্পাস তৈরির মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে তেঘরিয়ার পশ্চিমদি মৌজায় ২০০ একর ভূমি অধিগ্রহণের অনুমোদন দেওয়া হয়। 

২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর জমির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় ভূমি মন্ত্রণালয়। ৯ অক্টোবর নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনে ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়নের জন্য প্রকল্প অনুমোদন করে একনেক। ১ হাজার ৯২০ কোটি ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের অক্টোবরের মধ্যে। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে নতুন ক্যাম্পাসের নকশাও দেখানো হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ওই বছরের জুলাইয়ে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার চেক পায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসের সীমানা প্রাচীর ও লেকের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। 

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরার পর ব্যাপক সাড়া পড়েছে। বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা ভিডিওটি শেয়ার করে কেউ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আবার কেউ কেউ দীর্ঘদিনেও কাজ আশানুরূপ অগ্রগতি না হওয়া হতাশা প্রকাশ করেছেন। 

প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোনে তিনি জানান, ‘আমরা খুবই আশান্বিত হয়েছি প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের প্রকল্পের সম্পর্কে খুবই ভালোভাবে অবগত। তার স্বদিচ্ছার জন্য ২০১৮ সালে কেরানীগঞ্জে জমিটি বরাদ্দ করা হয়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক যে টেন্ডারগুলো সব প্রক্রিয়া শেষ করে পাস করে গেছেন, আমি শুধু সেগুলোর ওয়ার্ক অর্ডার করেছি। আমি দায়িত্বে আসার পর তদারকি কমিটি এবং গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, এখানে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। আমি প্রকৌশলীদের সাথে মিটিং করেছি। তারাও বিষয়টি স্বীকার করেছে যে, তাদের কাজে গাফিলতি আছে। আমাদের অভ্যন্তরে যারা কাজ করছে, তারা নতুন ক্যাম্পাস বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছার প্রতি সম্মান দেখাতে পারেনি। তাদের সক্ষমতারও ঘাটতি আছে বলে মনে হচ্ছে।’

উপাচার্য বলেন, ‘এছাড়াও আমাদের যে পরিমাণ জনবল দরকার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান যে কাঠামো তাতে এতবড় প্রকল্প চালানো অসম্ভব। কারণ আমাদের সেধরণের দক্ষ বা বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার নেই। ডিপিপিতে উল্লেখ করা ছিল জনবল দেওয়া হবে, ইঞ্জিনিয়ার দেওয়া হবে, মনিটরিং টিম দেওয়া হবে। কিন্তু কোনো কারণবসত ডিপিপি থেকে সেগুলো বাদ দেওয়া হয়। ফলে আমাদের আমাদের নিজস্ব শক্তিতে এতবড় প্রকল্পের কাজ কুলিয়ে উঠতে পারছি না। ক্ষুদ্র সামর্থ্য দিয়ে এতবড় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। সেকারণে আমি সরকারের প্রতি,  প্রধানমন্ত্রীর প্রতি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিরি প্রতি আপিল করছি, তারা ডিপিপি আবার রিভাইজ করে দক্ষ জনবল, মনিটরিং টিম, অন্যান্য উপাদান দরকার সেগুলো আমাদের অতিসত্বর প্রদান করলে কাজটি আমরা দ্রুত করতে পারি

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫