কোটাবিরোধী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে এনেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। আজ বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক’ ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষকরা। তারা মিছিল নিয়ে শাহবাগ থানায় যান।
পরে অপরাজেয় বাংলায় এক সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, দুজন ছাত্র সেখানে (শাহবাগ থানায়) ছিল। জোর করে স্বীকারোক্তিমূলক একটি ভিডিও নেওয়া হয়েছে এই বলে যে সে সরকার পতনের আন্দোলনে ছিল। এ ধরনের নিপীড়ন অত্যাচার চলছে। এটাতো আসলে নতুন কোন কিছু না। এই নিপীড়ন আকাশ থেকে পড়েনি। বছরে পার বছর এই নিপীড়ন চলেছে ক্যাম্পাসে। বিশ্বের কোন সভ্য দেশে এটা কল্পনা করা যায় না যে একটা ক্যাম্পাসে প্রতিদিন একটা ছাত্র নিপীড়িত হয়।
আটককৃত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আহত অবস্থায় পুলিশ আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাতের অন্ধকারে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে আমাকে কারও সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ করার সুযোগ দেওয়া হয় নাই। পরে আমি এক ডাক্তারকে ইশারা করে ডেকে আমার ফ্যামিলির একটা নম্বর দিই। সেখান থেকে আমাকে এখানে (শাহবাগ থানায়) নিয়ে আসা হয়। এটাই অনেক বেশি।‘
এ সময় সেখানে উপস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমরা থানা থেকে যতটুকু জেনেছি, আমাদের ছাত্ররা বলেছে, থানায় তাদের ওপর ফিজিক্যাল অত্যাচার হয় নাই। কিন্তু ছাত্রদেরকে এভাবে যোগাযোগ করতে না দিয়ে আটক করে রাখা একটা মেন্টাল টর্চার। আমি মনে করি যারা গুলি করে, যারা মানুষ মারে তাদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে না। যারা আক্রান্ত হয় তাদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এটাই হয়ে গেছে বাংলাদেশের চেহারা, এটা দুঃখজনক।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : কোটাবিরোধী আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দুই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh