‘গুপ্তহত্যার’ বিচার না হলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অনশন

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৫৭

ইনকিলাব মঞ্চের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: ঢাবি প্রতিনিধি
জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র-জনতাকে গুপ্তহত্যা এবং বিপ্লবীদের নিরাপত্তায় সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। এদিকে বিচারের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি।
তিনি বলেন, পাঁচ বিপ্লবী ভাইকে হত্যা, পাঁচজনকে আহত এবং অনেকেই হুমকি দেওয়া হয়েছে। যারা এসব কর্মকাণ্ডের জড়িতদের অবিলম্বে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যেকেই গ্রেপ্তার করতে হবে এবং অনতিবিলম্বে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। গণহত্যার দায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে, নিষিদ্ধ করার আগ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের উপজেলা পর্যায়ে অন্তত দশ জন করে শীর্ষ নেতাকে বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখতে গ্রেপ্তার করতে হবে। আগামী শুক্র ও শনিবারের মধ্যে না সম্ভব হয়, তাহলে আগামী রবিবার (২ ডিসেম্বর) ঠিক বেলা বারোটার দিকে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে, আমরা ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে যাব এবং অনশন কর্মসূচি পালন করব।
সাম্প্রতিক আওয়ামী লীগ এখন ‘গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে’ অভিযোগ করেন শরিফ ওসমান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যে ধরনের অপকর্ম করেছে। যার ডকুমেন্টেশন এখনো রয়েছে। সেগুলো যদি আন্তর্জাতিক আদালতে হাজির করা হয়, তাহলে আর ১০০ বছরেও এদেশে রাজনীতি করতে পারবে না। তারা সেই বিচার প্রভাবিত করতে এখন নানাভাবে গুপ্ত হত্যা চালাচ্ছে। আর সেই হিসেবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেছে নেওয়া হয়েছে। কেননা তাদের হল নেই, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সংগঠিত হতে পারবে না। সে কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টার্গেট কিলিং করা হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের সক্রিয় ছাত্র-জনতার নিরাপত্তা বিপন্ন হয়ে পড়েছে। ছাত্র-জনতাকে অনিরাপদ করে সরকারকে নিরাপদ রাখার দায় আমাদের নাই। যদি পারেন নিরাপত্তা দেন, নইলে নির্বাচন দিয়ে সরে যান। আপনাদের ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার জন্য পাঠানো হয়নি। আপনাদের ক্ষমতায় পাঠানো হয়েছে বিচারের জন্য।