-63df95124dcf9.jpg)
প্রবাসী কল্যাণ ভবনে আয়োজিত বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত
অভিবাসন ব্যয় কমাতে চান ঢাকা সফররত মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন বিন ইসমাইল। আজ রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইফুদ্দিন নাসুসন বিন ইসমাইল বলেন, সমঝোতা চুক্তি নিয়ে কথা বলেছি। আজকের আলোচনার বড় অংশ নিয়ে ছিল এই চুক্তি।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়া সরকার বিদেশি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সহজতর করতে চায়। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, চাহিদা পূরণ করা, ব্যয় কমানো, বিদেশি কর্মীদের সম্মান রক্ষা। যদি বর্তমান প্রক্রিয়ায় সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো না যায়, তবে মালয়েশিয়া পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত। সেজন্য আলোচনায় বসবো।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে ১৫ লাখ বিদেশি কর্মী কর্মরত রয়েছেন। তাদের সাড়ে চার লাখ বাংলাদেশি। সে কারণেই বাংলাদেশ ১৫টি সোর্স কান্ট্রির মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েরেছ। এখানকার কর্মীরা মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছেন।
তিনি বলেন, আজ দুটি বিষয়ে ফলপ্রসূ আলাপ হয়েছে। প্রথমত চলমান রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম আরো দ্রুত করা এবং দ্বিতীয়ত মালয়েশিয়া সরকার অভিবাসন ব্যয় কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম প্রসঙ্গে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইফুদ্দিন নাসুসন বিন ইসমাইল জানান, মালয়েশিয়ায় অনেক অবৈধ কর্মী আছেন। তাদেরকে একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বৈধ করা হচ্ছে। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে এই প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বৈধকরণের যত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তাদের ৫৫ শতাংশই বাংলাদেশি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মন্ত্রী ইমরান আহমেদকে অনুরোধ করেছি সহযোগিতার জন্য। বাংলাদেশ যেন নিজ অংশের দায়িত্ব পালন করে, আমরা যেন আমাদের কর্মীর চাহিদা পূরণ করতে পারি।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নতুন কর্মী অনুমোদন দেওয়ার সময় কমিয়ে এনেছি। আগে ২০-৩০ দিন লাগত। এখন ২-৩ দিনে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। যা বড় নীতিগত পরিবর্তন।
প্রবাসী কল্যাণ ভবনে আয়োজিত বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন জেষ্ঠ্য সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনসহ দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।