Logo
×

Follow Us

নগর

লবণে নেই আয়োডিন, কোম্পানিকে তলব করবে ভোক্তা অধিদপ্তর

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২৩:২৬

লবণে নেই আয়োডিন, কোম্পানিকে তলব করবে ভোক্তা অধিদপ্তর

লবণের আয়োডিনের যথাযথ মাত্রা হওয়া উচিত ১৫ থেকে ৫০ পিপিএম। ছবি: সংগৃহীত

বাজারে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির লবণে আয়োডিনের ছিঁটেফোঁটাও নেই বলে জানিয়ে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানায় এসব লবণ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকে ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে তলব করা হবে।

আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিসিকের কয়েকজন বিশেষজ্ঞকে সঙ্গে নিয়ে মিরপুরের পাইকারি বাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তর।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) ভ্রাম্যমাণ ল্যাব রাজধানীর মিরপুরের শাহ-আলী মার্কেটের বিভিন্ন দোকান থেকে বিভিন্ন কোম্পানির সাতটি ব্র্যান্ডের লবণ সংগ্রহ করে আয়োডিন পরীক্ষা এ তথ্য জানায়।

লবণের আয়োডিনের যথাযথ মাত্রা হওয়া উচিত ১৫ থেকে ৫০ পিপিএম। এক্ষেত্রে বিসিকের ল্যাবে পরীক্ষায় বেশিরভাগ কোম্পানির লবণে পর্যাপ্ত আয়োডিন পাওয়া যায়নি।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেনআয়োডিনের অভাবে গলগণ্ড রোগ হয়। এতে থাইরয়েড গ্রন্থি বড় হয়ে গলা ফুলে যায়। বিকলাঙ্গতাও দেখা দিতে পারে। আয়োডিনের অভাবে গর্ভবতীদের গর্ভস্রাবেরও ঝুঁকি বাড়ে।

১৯৮৯ সালে আয়োডিন স্বল্পতায় রোগ নিবারণ আইন পাস করার এবং ১৯৯৩ সালে এক সমীক্ষায় বাংলাদেশে ৪৭ দশমিক এক শতাংশ মানুষের গলগণ্ড রোগ থাকার কথা ধরা পড়ার পর ১৯৯৪ সালে আয়োডিনহীন লবণ বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার।

অভিযানে বাজারের বিভিন্ন পাইকারি দোকান থেকে নামে-বেনামে সাতটি ব্র্যান্ডের লবণ পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়। এরমধ্যে রয়েছে- ডলফিনএসিআইফ্রেশশাহীন মোল্লাহিমু সল্টনিউ জোড়া ডলফিন ও নিউ কোয়ালিটি সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ।

পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা যায়এসব লবণের মধ্যে নিউ কোয়ালিটি সল্টে ৪ দশমিক ২৫ পিপিএম আয়োডিন এবং নিউ জোড়া ডলফিনশাহীন মোল্লাহিমু সল্টে কোনো প্রকার আয়োডিন পাওয়া যায়নি। এছাড়া এসিআই এবং ফ্রেশ লবণে যথাযথ মাত্রায় আয়োডিন পাওয়া যায়।

এদিকে মিরপুরের শাহ আলী মার্কেটের তন্ময় এন্টারপ্রাইজসহ বেশ কয়েকটি পাইকারি দোকানের আয়োডিনহীন লবণ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে এসব লবণ ধ্বংস করা হয়। পরবর্তী সময়ে এসব লবণ বিক্রি করলে আইনগত ব্যবস্থার কথা জানায় ভোক্তা অধিদপ্তর।

অভিযানের বিষয়ে অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল গণমাধ্যমকে বলেনমিরপুরের এই বাজারে আমরা সাতটি ব্র্যান্ডের লবণ বিসিকের স্পেশালিস্টদের সহযোগিতা নিয়ে পরীক্ষা করেছি। এরমধ্যে চারটি ব্র্যান্ডের লবণে কোনো প্রকার আয়োডিন নেই। এসব কোম্পানি লবণের মোড়কে আয়োডিন আছে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা করছেন। আয়োডিন নেই এমন লবণ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ও বিপজ্জনক।

তিনি বলেনআয়োডিন নেই এমন লবণ জব্দ করে জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়। এসব লবণ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকে ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে তলব করা হবে। পরবর্তীকালে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫