মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় নেই: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৩, ১৬:৫১

জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভা। ছবি: সংগৃহীত
মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখের বেশি শহীদের সংখ্যা নিয়ে কোনও সংশয় নেই বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
আজ শনিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কে এম খালিদ বলেন, আমার নিজস্ব উপজেলায় ১৭টি বধ্যভূমি রয়েছে যেখানে একটি বধ্যভূমিতেই একদিনেই ১৬৫ জনকে হত্যা করে দাফন করা হয়েছে। তাহলে ১৭টি বধ্যভূমিতে কত লোক দাফন করা হয়েছে। এভাবে দেশের ৪৯০টি উপজেলায় কত গড়পড়তা ১০টি করে বধ্যভূমি থাকলে মনে হয় ৩০ লাখেরও বেশি শহীদ হবে। তাই শহীদের সংখ্যা নিয়ে কোনও সংশয় নেই।
তিনি বলেন, সরকারিভাবে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের নেতৃত্বে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প ‘গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র’ দেশব্যাপী গণহত্যা বিষয়ক জরিপ কার্যক্রমের মাধ্যমে গণহত্যার প্রমাণ ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৩৪টি জেলায় সাড়ে চার হাজার বধ্যভূমিসহ ১৭ হাজার ২৮৬টি গণহত্যার ঘটনা, গণকবর চিহ্নিত হয়েছে। যাতে প্রতীয়মান হয় যে একাত্তরের গণহত্যার প্রকৃত সংখ্যাটি ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। এর মাধ্যমে গণহত্যার সংখ্যাতাত্ত্বিক বিতর্কের অবসান ঘটবে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে যে নৃশংস গণহত্যা হয়েছে তার স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়া খুবই দুঃখজনক। মূলত ২০১৭ সালে থেকে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
গণত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়ে বিভিন্ন ডকুমেন্টস ইংরেজিতে ও ফ্রেঞ্চ ভাষায় অনুবাদের প্রয়োজনীয়তা প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা আমাকে বইগুলোর নাম দেবেন আমি বাংলা একাডেমির অনুবাদ বিভাগ থেকে বিভিন্ন বিদেশি ভাষায় অনুবাদ করে দেব।
‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা সাবেক সচিব মুসা সাদিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ এর সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।