
বায়তুল মোকাররম মসজিদ। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির ছিলেন একই মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. ইসহাক।
আজ শনিবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৭টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে ইমাম বিশেষ খুতবা দেন। এরপর মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় ঈদের প্রথম জামাত।
মহামারি করোনা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় নামাজ শেষে মুসল্লিদের মধ্যে একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও কোলাকুলি করতে দেখা দেছে।
এর আগে, সকাল ৬টার আগে থেকেই জাতীয় মসজিদে ঈদের জামাত আদায়ে ভিড় করতে থাকেন মুসল্লিরা। সকাল সাড়ে ৬টায় মসজিদের ভিতরে মুসল্লি কানায় কানায় ভরে যায়।
ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে জাতীয় মসজিদ এলাকায় এবং মসজিদের প্রতিটি গেটে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। ব্যাগ নিয়ে আসা অনেককেই পুলিশ তল্লাশি করেন।
বাইতুল মোকাররমে দ্বিতীয় জামাত হয় সকাল ৮টায়। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী এবং মুকাব্বির থাকবেন খাদেম হাফেজ মো. আব্দুল মান্নান।
তৃতীয় জামাত হবে সকাল ৯টায়। এতে ইমাম থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী এবং মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সাবেক মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান।
চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায়। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. এহসানুল হক ইমাম হিসেবে থাকবেন এবং মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন চিফ খাদেম মো. শহিদ উল্লাহ।
আর পঞ্চম ও সবশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম এবং মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন খাদেম হাফেজ মো. জহিরুল ইসলাম।
এছাড়া পাঁচটি জামাতে নির্ধারিত কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।