
প্রতীকী ছবি
দেশের বিদ্যুৎ খাতের ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা অনেক। এদিকে ডলারের সংকটে কয়লা আমদানি করতে না পারায় দেশের বড় দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন প্রায় বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকার কোথায় কত ঘণ্টা করে লোডশেডিং হবে তা জানানোর পাশাপাশি বিদ্যুৎসাশ্রয়ী কিছু পরামর্শ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট ডিপিডিসি।
ডিপিডিসি বলছে, ন্যাশনাল লোড ডেসপাচ সেন্টার (এনএলডিসি) থেকে বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে লোডশেডিং হ্রাস-বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ছাড়া জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজ/বিদ্যুৎ বিভ্রাট বা কম বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে এনএলডিসি থেকে খুব কম লোড পেলেও শিডিউল পরিবর্তন হতে পারে। হালনাগাদ তথ্য জানতে ডিপিডিসির ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
ডিপিডিসি বলছে, জরুরি ভিত্তিতে ‘ইমার্জেন্সি মেইনটেন্যান্স’ প্রয়োজন হলে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন হতে পারে।
আজ রবিবার রাজধানীর কোন এলাকায় কত ঘণ্টা করে লোডশেডিং হতে পারে, তার সূচি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে রাজধানীর বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি)। এলাকাভিত্তিক সম্ভাব্য লোডশেডিং- এর শিডিউল দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
জ্বালানি সংকটের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কীভাবে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যাবে, সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) :
• অফিসে এসির ব্যবহার সীমিত রাখা। এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার ওপরে রাখা;
• অপ্রয়োজনীয় বাতি ও ফ্যানের ব্যবহার থেকে বিরত থাকা;
• দিনের বেলায় জানালার পর্দা সরিয়ে রাখা, সূর্যের আলো ব্যবহার করা;
• কক্ষের বাইরে অবস্থানকালীন ফ্যান-লাইট, এসি ইত্যাদি বন্ধ রাখা;
• বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে এলইডি লাইটসহ স্মার্ট বৈদ্যুতিক সামগ্রী ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা;
• নিজস্ব স্থাপনার রুফটপ সোলার সিস্টেমের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা।