
ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীতে যানজট নিরসন ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল স্থানান্তর করা হবে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে।
কাঁচপুরে আজ বুধবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে আন্তজেলা বাস টার্মিনালের নির্মাণকাজ উদ্বোধন শেষে এ কথা জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি জানান, আগামী ছয় মাসের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের বাস টার্মিনাল যানবাহন রাখার উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নগর পরিবহন ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। টার্মিনালে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা বাড়ার পাশাপাশি উপকৃত হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট পথের ১৬ জেলার মানুষ।’
তিনি আরও বলেন, ১৯৮৪ সালে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালটি নির্মাণের পর আর কেউ ঢাকায় বাস টার্মিনাল নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি, যে কারণে ঢাকায় পরিবহন ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা নেই।
‘নগর পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতেই ঢাকা বাইরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় অধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন বাস টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১২ বিঘা জমির ওপর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে ২৮ কোটি টাকা প্রাথমিক ব্যয়ে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে প্রকল্পটির নির্মাণকাজ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে।
তাপস বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কাঁচপুরে আন্তজেলা বাস টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬ জেলার গণপরিবহন চলাচল করবে। এটি নির্মিত হলে ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে নগর পরিবহন সেবায় নিয়োজিত বাস চলাচল করবে।
‘২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে টার্মিনালের মাটি ভরাট, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, চালক ও হেলপারদের জন্য ছাউনি নির্মাণ করাসহ বাস টার্মিনালে বাস রাখার উপযোগী করে তোলা হবে।’
মেয়র জানান, ঢাকার যাত্রীরা যাতে নিরাপদে কাচঁপুর বাস টার্মিনালে সহজে যেতে পারেন, সে জন্য নগর পরিবহনের বাস সায়েদাবাদ থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত চলাচল করবে।
কাচঁপুর বাস টার্মিনাল নির্মাণকাজ শেষ হলে ঢাকার যানজট কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
রাজধানীর পাশে আন্তজেলা বাস চলাচলের জন্য হেমায়েতপুর, কামরাঙ্গীরচরসহ আরও কয়েকটি বাস টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘ঢাকা শহর থেকে পর্যায়ক্রমে টার্মিনালগুলোকে সরাতে হবে। কাঁচপুর থেকেই দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের পরিবহন চলাচল করবে।’