সাইবার নিরাপত্তা আইনে ধর্ম অবমাননার শাস্তির ধারা যুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৩, ১২:৫৮

ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজের মানববন্ধন
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে কেউ কটুক্তি বা অবমাননা করলে সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজ নামের একটি সংগঠন। শনিবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এ মানববন্ধন হতে প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষায় পৃথক ধারা সংযোজনের পাশাপাশি আইনে সর্বোচ্চ এ শাস্তির বিধানে দাবি জানায় অংশগ্রহণকারীরা। এসময় প্রায় শতাধিক নাগরিক মানববন্ধনে অংশ নেন। উক্ত মানববন্ধনে ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজের আহবায়ক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রসংগঠক মুহম্মদ আবু সায়েম রিমন মূল বক্তব্য পাঠ করেন। এছাড়াও সদস্যসচিব সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট মুহম্মদ মাসউদুজ্জামান, সদস্য অ্যাডভোকেট মুহম্মদ জহিরুদ্দিনসহ আরো অনেকে তাদের দাবি জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।
মূল বক্তব্যে মুহম্মদ আবু সায়েম রিমন বলেন, আমরা জানতে পেরেছি সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ নামক একটি নতুন আইন পাশ করতে যাচ্ছে। আইনটি পাশের পূর্বে সরকার এটির বিষয়ে নাগরিকদের মন্তব্য জানতে চেয়েছেন। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে সে মতামত দেয়ার জন্য এই মানববন্ধনের আয়োজন করেছি।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রধর্মের সম্মান সুরক্ষা দেয়া রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। অথচ রাষ্ট্রধর্মের সম্মান সুরক্ষায় দেশে পৃথক কোন আইন নেই। প্রায়ই কিছু বিকৃত মানসিকতার লোক ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করেন। কিন্তু আলাদা কোনো আইনি ধারা না থাকায় রাষ্ট্রধর্মের সম্মান সুরক্ষায় সংঘটিত অপরাধ রোধ করা যায় না। তাই ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের মতামত- প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সম্মান সুরক্ষায় পৃথক ধারা সংযুক্তের পাশপাশি রাষ্ট্রধর্মের অবমাননায় সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখতে হবে।
এ সময় সংগঠনের পক্ষ হতে সদস্যসচিব সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট মুহম্মদ মাসউদুজ্জামান বলেন, প্রস্তাবিত আইনের খসড়া পাঠে আমরা জানতে পেরেছি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বা ২৮ ধারার সাজা হ্রাস করা হবে, এটি খুব উদ্বেগজনক বিষয়! ২০১৩ সালের পর শক্ত আইন কার্যকরের মাধ্যমে অনলাইনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অপরাধ উল্লেখযোগ্য হারে কমে ও দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসে। কিন্তু এই সাজা যদি হ্রাস বা দুর্বল করা হয় তাহলে পুনরায় ধর্মীয় অনূভুতিতে আঘাতের অপরাধ বৃদ্ধি পাবে। এতে আবারও অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরীর শঙ্কা রয়েছে।
তিনি ২৮ ধারার সাজা হ্রাস না করে বরং এ ধারায় সাজা আরো বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
এছাড়াও প্রস্তাবিত আইনে বর্তমানে অনলাইনে নিষিদ্ধ নানা বস্তুর ক্রয়-বিক্রয়, লেনদেন ও প্রচারণাকেও অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভূক্তির আহবান জানান তারা। অন্যান্যের মধ্যে মুহম্মদ আরিফুল খবীর, মুহম্মদ হাবীবুর রহমান, মুহম্মদ রওশন আলী, অ্যাডভোকেট মুহম্মদ জাভেদ হাসানসহ প্রায় শতাধিক নাগরিক এ সময় মানববন্ধনে অংশ নেন।