
খন্দকার মুশতাক আহমেদ। ফাইল ছবি
অবশেষে গভর্নিং বডির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের আলোচিত সেই দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ। গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) গভর্নিং বডির সভাপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
এর আগে আদালত আদেশ দেন- আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ। আদেশে আরও বলা হয় স্কুলের সীমানায় ঢুকতে পারবেন না তিনি।
তবে খন্দকার মুশতাক আহমেদকে হাইকোর্টের দেয়া আগাম জামিন বহাল থাকবে বলে লিখিত আদেশে জানিয়েছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
এদিকে, আজ শনিবার (২৬ আগস্ট) পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন খন্দকার মুশতাক নিজেই। তিনি বলেন, ‘আমি আইডিয়াল স্কুলের দাতা সদস্য পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছি। এখন থেকে এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার আনুষ্ঠানিক কোনো সম্পর্ক থাকবে না।’
এবিষয়ে গভর্নিং বডির সভাপতি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান বলেন, ‘তার পদত্যাগপত্র পেয়েছি। পরবর্তী বৈঠকে তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
খন্দকার মুশতাক গভর্নিং বডির সদস্য থাকাকালে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করেন। এই বিয়ে নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। খোদ রাষ্ট্র পক্ষের কৌসুলিরা হাইকোর্টে বলেন, খন্দকার মুশতাক রক্ষক হয়ে ভক্ষকের কাজ করেছেন। এভাবে কোনো ছাত্রী ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপদ নয়। এমনকি হাইকোর্ট বলেন, এটা বিকৃত রুচির বিয়ে।
গত ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে খন্দকার মুশতাক আহমেদকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় আইডিয়ালের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকেও আসামি করা হয়। ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।