প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় হিন্দু মহাজোটের প্রতিবাদ

সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:৩৬

বাংলাদশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। ছবি- সংগৃহীত
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর ছাতিয়াইন দক্ষিন রামশ্বর গ্রামে বিশ্বকর্মা পুজায় দুর্বৃত্তের হামলা ও প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোট।
একইসঙ্গে ফরিদপুর দুর্গা প্রতিমা ভাংচুর, বাগেরহাটের চিতলমারীতে কৃষ্ণপদ হীরা হত্যা, দিনাজপুর অমল সাহা হত্যাসহ বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর ও হত্যা লুটপাটের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সংগঠনটি।
মানববন্ধনে হিন্দু ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সজিব কুন্ডু তপুর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রনি রাজবংশী, সাংগঠনিক সম্পাদক নিলয় পাল আদর, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ বড়াল, দপ্তর সম্পাদক উৎপল ভৌমিক, পল্লব দাস, ঢাকা মহানগর উত্তরর সাধারণ সম্পাদক সজীব চন্দ্র দাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব হৃদয় চন্দ্র দাস, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন মন্ডল, হিন্দ্র সেচ্ছাসেবক মহাজোটের সভাপতি তুলন পাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুভাষ কর্মকার, ঢাকা বিভাগীয় প্রচার সম্পাদক ঝিনুক বিশ্বাস, হিদু মহাজাটর সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডঃ প্রদীপ কুমার পাল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় স্বাধীনতার পূর্ব হতেই স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি বাংলাদশ আওয়ামীলীগকে ভোট দিয়ে আসছে। একারণে এই সরকারের প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের আশা আকাঙ্ক্ষা অনেক। দূর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। বাঙ্গালীর চিরন্তন ঐতিহ্যও বটে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, দূর্গা পুজায় ৫ দিনের ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা থাকলেও সরকারিভাবে মাত্র একদিনের ছুটি থাকে। ফলে দুর্গা পুজায় কারও পক্ষেই গ্রামে গিয়ে পরিবার পরিজনের সঙ্গে ধর্মীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার সুযোগ থাকে না।
বক্তারা আরও বলেন, দশমিতে পিতা মাতা, ও প্রতিবেশী গুরুজন ব্যক্তিদের প্রণাম করা ও আর্শিবাদ গ্রহণ একটি ধর্মীয় সামাজিক রীতি। এর মধ্যদিয়ে পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন সষ্টি হয়। গত ২০ বছর ধরে হিন্দু সম্প্রদায় মানববন্ধন, স্মারকলিপি, গণস্বাক্ষর সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চষ্টা চলছে। সংবিধানের মূলনীতিতেও ধর্মনিরপক্ষতার বিধান রয়েছে। তা সত্ত্বেও দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গা পূজায় ৩ দিনের ছুটির দাবিটি উপেক্ষিত। আমরা আশা করি আসন্ন দুর্গা পুজার আগেই হিন্দু সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের দাবিটি নির্বাহী আদেশে ঘোষণা ও বাস্তবায়ন করা হবে। একইসঙ্গে হত্যা, ভাংচুর, মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুরকারীদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন বক্তারা।