Logo
×

Follow Us

নগর

এলপিজি সিলিন্ডার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:৩৭

এলপিজি সিলিন্ডার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ফাইল ছবি

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রিতে পরিবেশকদের অনেক এজেন্ট থাকে। তাদের আরও সাব-এজেন্ট থাকে। তিন-চার হাত ঘুরে ঘোষিত দামের চেয়ে ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

আজ রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর টিসিবি ভবনে আয়োজিত ‘হোটেল-রেস্তোরাঁয় এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এ কর্মশালার আয়োজন করে। 

এলপিজি খাতের সব ব্যবসায়ীকে নজরদারিতে আনার আহ্বান জানিয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কমিশন দামের বিষয়টি নজরদারি করছে। তবে বাজারে খুচরা বিক্রেতারা বিভিন্ন উপায়ে দামটা বাড়ায়। এলপিজি পরিবেশকদের যারা নিয়ন্ত্রণ করে, তাদেরও দায়িত্ব আছে। কমিশন হয়তো কোনো কোনো এলাকায় দাম যাচাই করছে। পরিবেশকদের দায়িত্ব তার এলাকায় দাম নিশ্চিত করা।

হোটেল–রেস্তোরাঁয় এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারের জন্য নীতিমালার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, যেকোনো দোকানে ৪ থেকে ৫টা সিলিন্ডার সামনে রেখে দেয়। হোটেলে চুলার পাশে রেখে দিচ্ছে। এগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিইআরসির পাশাপাশি রাজউক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার সিটি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির মতো সংস্থাগুলোকেও এ বিষয়ে নজর দিতে হবে।

আবাসিক ভবনগুলোতে এখন আর পাইপলাইনের গ্যাসের প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উঁচু ভবনের নিচে ট্যাংক বসিয়ে সবাই কিন্তু খুব সহজে ও নিরাপদে এলপিজি ব্যবহার করতে পারেন। এলাকাভিত্তিকও এ ধরনের ট্যাংক বসানোর কাজ করা যেতে পারে।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিতাসের পাইপলাইনগুলো অনেক পুরোনো হয়ে গেছে। ৫০-৬০ বছরের পুরোনো। অধিকাংশ পাইপলাইনে ছিদ্র আছে। অনেক চোরাই লাইন তৈরি হয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে বছরের পর বছর ধরে এ কাজগুলো হয়ে আসছে। এগুলোর সমাধানে বড় প্রকল্প নিয়েছে তিতাস। সে প্রকল্প শেষ হতেও ৪ থেকে ৫ বছর সময় লাগবে।

বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নুরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার উপস্থিত ছিলেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মাকসুদ হেলালী।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫