
আউটসোর্সিং কর্মীদের শাহবাগ অবরোধে স্থবির হয়ে পড়ে শাহবাগ। ছবি: সংগৃহীত
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে রাস্তা অবরোধ করেন বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের আউটসোর্সিং কর্মীরা। এতে তীব্র যানজটে ভোগান্তি পড়েন নগরবাসী। এই যানজট দুপুরের পর থেকে ছড়িয়ে পড়ে পুরো শহরে। ফলে নাকাল হয়ে পড়েন অফিস শেষে বাড়ি ফেরা মানুষ।
আজ শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে সড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন আউটসোর্সিং কর্মীরা। পরে বিকাল পৌনে ৫টার দিকে চাকরি স্থায়ীকরণে জন্য সরকারকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক ছাড়েন তারা। সকাল ১০টার পর থেকে শাহবাগসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তার যানজট তীব্র হতে থাকে। এ সময় অনেক যাত্রীকে বাস থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে যেতে দেখা যায়।
বেশির ভাগ যানবাহরকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় রাস্তায় জ্যামের মধ্যে থাকতে দেখা যায়। সাধারণত শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় তুলনামূলক সড়কে যানবাহনের চাপ কম থাকে। অথচ শাহবাগ অবরোধের কারণে শাহবাগ ও আশপাশের বেশির ভাগ সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
বিষয়টি নিয়ে আজ বিকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক বিভাগ) খন্দকার নজমুল হাসান বলেন, ‘যানজট নিরসনে সকাল থেকে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। শাহবাগ মোড়ে অবরোধ করায় কয়েকটি রাস্তা ডাইভার করে অন্য রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল সচল রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। এখন তারা অবরোধ তুলে নিয়ে রাস্তা ছেড়ে দিয়েছে। এখন সব রাস্তা সচল আছে। আশা করছি ঘণ্টাখানেকের মধ্যে যানজট কমে আসবে।’
অতিরিক্ত কমিশনার খন্দকার নজমুল হাসান আরও বলেন, ‘যে কারও দাবিদাওয়া থাকতে পারে। সে জন্য রাস্তা অবরোধ করতে হবে কেন? গুটিকয়েক মানুষের জন্য লাখ লাখ মানুষের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। শিশু-বৃদ্ধ থেকে শুরু করে অসুস্থ মানুষের ভোগান্তি কথাও সবার ভাবতে হবে। আমরা সবাইকে অনুরোধ করতে চাই, আপনারা আন্দোলন করুন, তবে সড়ক বন্ধ করে না। সড়কে একাংশে দাড়িয়ে আপনাদে দাবি জানান। মানুষের ভোগান্তির কারণ যেন না হয়।’