ডিএমপিকে বিশ্বের অন্যতম সেরা পুলিশ বললেন ইতালির নাগরিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪৩

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস বিফ্রিংয়। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকায় এসে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন ইতালির নাগরিক তানিয়া মোহাম্মদ শেখ নূর। বিষয়টি ডিএমপির তুরাগ থানা পুলিশকে জানালে মাত্র ১২ ঘন্টায় উদ্ধার হয় হয় তার পাসপোর্ট, মোবাইল। ডিএমপি পুলিশের এমন আন্তরিক তৎপরতা হৃদয় জয় করেছে এই বিদেশিনীর। তাই মিডিয়ার সামনে অকপটে জানালেন এদেশের পুলিশে নিয়ে তার সাম্প্রতিক মনোভাব।
আজ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস বিফ্রিংয়ে তানিয়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তথা বাংলাদেশ পুলিশকে বিশ্বের অন্যতম সেরা বাহিনী বলে অভিহিত করেন।
তিনি ছিনতাই হওয়া পাসপোর্ট ও অন্যান্য জিনিসপত্র দ্রুততার সাথে উদ্ধার করে দেয়ায় ডিএমপির সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এসব কথা বলতে গিয়ে বারবার আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন ওই ইতালির নাগরিক।
তুরাগ থানা সূত্রে জানা যায়, রবিবার ভোর আনুমানিক ০৪:০১ ঘটিকায় ইতালিয়ান নাগরিক তানিয়া মোহাম্মদ শেখ নূর ইতালি হতে একটি ফ্লাইটে ঢাকা শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। তিনি বিমানবন্দরের সামনে থেকে একটি উবার মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ১৯ নং সেক্টরের প্রবাসী হোস্টেলে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা করেন। মোটরসাইকেল চালক ইতালিয়ান নাগরিককে হোস্টেলে না নিয়ে গিয়ে তুরাগ থানাধীন ১৫ নং সেক্টরের ১ নং মেট্রোরেল স্টেশন সংলগ্ন ব্রীজের পাশে নিয়ে যায়। সেখানে ইতালিয়ান নাগরিককে তার অপর এক সহযোগীর সহায়তায় ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক তার সাথে থাকা ইতালিয়ান পাসপোর্ট, একটি আইফোন ১৩ মোবাইল, একটি আইফোনের চার্জার, একটি ম্যাকবুক চার্জার, ইতালিয়ান পরিচয়পত্র, ব্যাংক কার্ড, সুগন্ধি, ইতালিয়ান বই, নগদ ৫০ ইউরো ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।
এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইতালিয়ান নাগরিক তানিয়া মোহাম্মদ শেখ নূরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তুরাগ থানায় একটি নিয়মিত মামলা করা হয়।
মামলাটি পর ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় ১২ ঘন্টার মধ্যে ছিনতাইকারী উবার মোটরসাইকেল চালক মো. খোরশেদ আলমকে শনাক্ত করা হয়। অতঃপর ২ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫:১৫ টায় তুরাগ থানার পাকুরিয়া হাসুর বটতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে খোরশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১১.১৫ টায় পাকুরিয়া এলাকার একটি বাসায় অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাইকাজে সহায়তাকারী মো. শাহিন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির পাঠানো প্রেস রিলিজে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা উবার মোটরসাইকেল চালকের বেশ ধারণ করে নির্জন জায়গায় নিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে যাত্রীদের টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ডিএমপি জানায়, ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার পর তুরাগ থানা পুলিশ ও ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ইতালিয়ান নাগরিক তানিয়া মোহাম্মদকে সার্বক্ষণিক মানসিক সাপোর্ট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেন।