
চুরির মালামালসহ গ্রেপ্তারকৃত গৃহকর্মী। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর ধানমন্ডিতে খাবারে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ চুরির ঘটনা ঘটেছে। নগদ অর্থ ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধারসহ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ধানমন্ডি থানা পুলিশ।
তার কাছে থেকে নগদ তিন লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা, নয়টি মোবাইল ফোন, একটি গলার মুক্তার হার, একটি ভ্যানিটি ব্যাগ ও ব্যাগে রক্ষিত চেতনা নাশক ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ৯ টায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঐ গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।
ধানমন্ডি থানা জানিছে, কামরুন নাহার চৌধুরী রিতা ধানমন্ডি এলাকার ৫/এ নং রোডের ৫৯ নং বাসার একটি ফ্ল্যাটে স্বামী ও সন্তানসহ বাস করেন। বাসায় গৃহকর্মী না থাকায় তিনি বাসার সিকিউরিটি গার্ডকে তার পরিচিত কোন গৃহকর্মী থাকলে দিতে বলেন।
সিকিউরিটি গার্ড শহিদুর রহমান গত ১৭ জানুয়ারি ঐ গৃহকর্মীকে কাজের জন্য উক্ত বাসায় নিয়ে আসে। ঐদিন দুপুরে কামরুন নাহার কেনাকাটার জন্য মার্কেটে গেলে, সেই সুযোগে ঐ গৃহকর্মী বাসায় থাকা কামরুন নাহার চৌধুরীর স্বামী ও ছেলেকে দুপুরের রান্না করা খাবারের সাথে কৌশলে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে খাওয়ায়।
খাবার খেয়ে তার স্বামী ও ছেলে ঘুমিয়ে পড়লে সেই সুযোগে গৃহকর্মী বাসার আলমারি ভেঙ্গে নগদ ৬০ হাজার টাকা, ছয়টি স্বর্ণের চুরি, দুটি স্বর্ণের চেইন, একটি কানের দুল, একটি স্বর্ণের লকেট, তিনটি ডায়মন্ডের আংটি, দুটি ডায়মন্ডের কানের রিং ও স্বর্ণের কানের সেটসহ সর্বমোট ৩০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মূল্যের মালামাল চুরি করে আনুমানিক বিকেল ৪ টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।
এ ঘটনায় কামরুন নাহার চৌধুরী রিতা বাদী হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি ধানমন্ডি থানায় একটি চুরির মামলা করেন।
থানা সূত্র আরও জানায়, মামলার পর ঐ বাসার সিকিউরিটি গার্ড শহিদুর রহমানকে গত ১৯ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত শহিদুর রহমানের দেওয়া তথ্য, বাসা ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং প্রযুক্তির সহায়তায় ঐ গৃহকর্মীকে শনাক্ত করে গাজীপুর জেলার টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সে গৃহকর্মী হিসেবে বিভিন্ন বাসায় কাজ নিয়ে চুরি করে টঙ্গী এলাকায় বিলাসী জীবন যাপন করতেন। টঙ্গীতে “স্বপ্নবিলাস” নামে তার একটি সমবায় সমিতিও রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।