দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর পল্টন মোড়ে সিপিবির নারী নির্যাতন বিরোধী মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সমাবেশে সিপিবির নেতারা অবিলম্বে সরকারকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার আহ্বান জানান। নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি করেন তারা।

সমাবেশে রুহিন হোসেন বলেন, “মাগুরার শিশুটির মৃত্যু আমাদেরকে লজ্জিত ও অপরাধী করে দেয়। রক্তাক্ত অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এমন ঘটনা, এমন মৃত্যু কীভাবে ঘটে চলেছে?”

সিপিবির এই শীর্ষ নেতা বলেন, “সারাদেশে অব্যাহত খুন, ধর্ষণ, নৈরাজ্য, সন্ত্রাস প্রমাণ করে দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। শুধু নতুন রাজনৈতিক দলকে উৎসাহ দিলেই গণতান্ত্রিক পরিবর্তন ঘটে না। মব সন্ত্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে রহস্যময় নির্লিপ্ততা জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করছে।”

দ্রুত সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে সিপিবির এই নেতা বলেন, “জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত না হলে, জনগণের ম্যান্ডেটে সরকার গঠন না হলে, দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না।”

ঢাকা উত্তর সিপিবির সাধারণ সম্পাদক লুনা নুর বলেন, “জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ-সংবিধান বিরোধী অবস্থান থেকে নারীর প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে এই অন্তর্বর্তী সরকার নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।”

ঢাকা উত্তর সিপিবির সভাপতি সাজেদুল হক রুবেল বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার খুন, ধর্ষণ কিংবা মবের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে তো পারছেই না। তাদের নাকের ডগাতেই এই মব সন্ত্রাস চলছে। কিন্তু কোনো কার্যকর ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে না।”

সমাবেশে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতা হাসান হাফিজুর রহমান, ক্ষেতমজুর নেতা মোতালেব হোসেন, নারীনেত্রী রোকেয়া বেগম। সমাবেশের শুরুতে একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মাগুরার আট বছরের শিশুকেসহ সারা দেশে নারী ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করে ‘রাইট টক বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন।

ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আল আমিন এম তৌহিদ ধর্ষকদের প্রকাশ্যে শাস্তি দাবি করেন।

তিনি বলেন, “যত দিন জনসম্মুখে ফাঁসি না দিবে তত দিন দেশে ধর্ষণ বন্ধ হবে না।’