
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক বিফ্রিংয়ে রেজাউল করিম মল্লিক। ছবি- সংগৃহীত
ঈদুল ফিতরে ঢাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা শাখা-ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক। ঈদে ঢাকাবাসীকে নিরাপত্তা দিতে ডিএমপির ৬৬৭টি টহল টিম মাঠে থাকবে বলে জানান তিনি।
শনিবার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক বিফ্রিংয়ে এ কথা জানান ডিএমপির এই অতিরিক্ত কমিশনার।
রেজাউল করিম বলেন, “ঢাকাবাসীর নিরাপত্তার জন্য সিটি এলাকায় চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। ঈদে পুলিশের ৫০টি থানায় প্রতিদিন দুই শিফটে ডিএমপির ৬৬৭টি টিম দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া সিটি এলাকায় ডিএমপির ৭১টি পুলিশি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।”
ডিএমপির এই অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, “ঈদ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকায় পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মহানগরীতে চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে।”
রেজাউল করিম বলেন, “পুলিশকে সহায়তার জন্য ইতোমধ্যে অক্সিলারি ফোর্স নিয়োগ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তারা কার্যকর ভূমিকা পালন করে আসছে। পুলিশের পাশাপাশি ডিবির উল্লেখযোগ্য টিম কাজ করবে।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এই কর্মকর্তা বলেন, “উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশ ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে বাসা বাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপনিবিতানের সার্বিক নিরাপত্তায় ডিএমপির পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রোজায় নগরবাসী যাতে নিরাপদে ইবাদত করতে পারে সেজন্য ডিবি যেমন সবসময় পাশে ছিল, তেমনি ঈদ নিরাপদ ও উৎসবমুখের পরিবেশে উদযাপনেও ডিবি সবসময় নগরবাসীর পাশে রয়েছে।”
রেজাউল করিম বলেন, “ঈদে বিপনিবিতান, রেল স্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে ডিবির কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। নির্বিঘ্ন ও নিরাপদে ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে যেকোনো প্রয়োজনে ডিবি পাশে রয়েছে।
“ঈদে বিপনিবিতান, রেলস্টেশন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে কেউ যাতে নাশকতা না করতে পারে, সেজন্য ডিবির গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।”
ডিবির সাইবার টিম কাজ করছে জানিয়ে রেজাউল করিম বলেন, “সাইবার স্পেস ব্যবহার করে ঈদ উপলক্ষে যেকোনো অপপ্রচার রোধে ডিবি তৎপর।”
তিনি বলেন, “ঈদ শেষে নগরবাসী যাতে স্বস্তি ও নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারে, কোন ধরনের বিরূপ পরিস্থিতি সম্মুখীন না হয়, সেজন্য ঈদ পরবর্তী সময়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। ছিনতাইকারী, চোর, চাঁদাবাজ ও বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক টিম নগরের বিভিন্ন কৌশলগত জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে আসছে।”
জাল টাকা তৈরি ও সরবরাহ রোধে ডিবি অত্যন্ত তৎপর রয়েছে জানিয়ে রেজাউল করিম বলেন, “ইতোমধ্যে ডিবির অভিযানে বিপুল জাল নোট ও সরঞ্জাম ও চক্রের বেশ কয়েকজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অনলাইনে জাল নোট বিক্রি ঠেকাতে ডিবির সাইবার টিম সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে।”
ঈদে পাড়া, মহল্লায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি থানা ও ডিবিতে অবহিত করতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।