
ছবি- সংগৃহীত
নগরে হঠাৎ বৃষ্টি। সকালে রোদের দুপুরে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজল নগরবাসী।
এমনিতেই বিভিন্ন দাবি নিয়ে বুধবার সকালে ঢাকার তেজগাঁওয়ের সাত রাস্তা মোড়ে অবরোধ করে পলিটেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা; দেশের নানা প্রান্তেই একই কর্মসূচি ছিল তাদের। যানজটে স্থবির ছিল নগর। তারমধ্যে এই বৃষ্টি স্বস্তির সাথে ভোগান্তিরও কারণ হয়।
সকাল থেকে গরম আর তীব্র যানজটের পর দুপুরে দুপুর নাগাদ মেঘলা হয়ে আসে। এরপর বইতে শুরু করে ঝড়ো বাতাস। মতিঝিল, ফকিরাপুল, পুরানা পল্টন প্রেসক্লাবসহ আশপাশের এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ মুষলধারে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া পান্থপথসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ চমকানোসহ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
করওয়ানবাজার এলাকার রিকশা চালক বাদশা মিয়া বলেন, “সকালে গরম ছিল। এখন আবার তুমুল বৃষ্টি। সারাদিন যদি বৃষ্টি চললে আমাদের আয় রোজগার আজকের মতো শেষ।”
বৃষ্টির মধ্যে রাস্তার একটি দোকানে দাড়িয়ে ছিলেন আয়শা হাসান নামের এক নারী শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, “আমাদের এই শহরে বৃষ্টি যেমন স্বস্তির, তেমনই দুর্ভোগেরও কারণ। হঠাৎ যখন বৃষ্টি বাড়ল ইউনিভার্সিটি থেকে বাসায় ফেরার পথে তখন দাঁড়ানোর জায়গা পাচ্ছিলাম না। কোনরকম এই চায়ের দোকানের ছাউনিতে দাঁড়িয়েছি।”
অফিসের কাজে বের হতে গিয়ে তুমুল বৃষ্টিতে আটকে পড়া হিমু বলেন, “বৃষ্টি যেমন আমাদের জন্য স্বস্তির এবং তার পাশাপাশি ঢাকাবাসীর কাছে আতঙ্কের। জলাবদ্ধতা আর দুর্ঘটনার ভয়।”
আগাম প্রস্তুতি না থাকায় বৃষ্টির কারণে কর্মস্থল থেকে ঘরে ফেরা মানুষ বিপাকে পড়েন। তবে দিনের গরমে অতিষ্ঠ হয়ে আবার কেউ কেউ ভিজেছেন বৃষ্টিতে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও আশেপাশের এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।