
লেখক-শিল্পী সম্মিলনে অতিথিরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক শিক্ষাবিদ শহিদুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমান প্রজন্মের জন্য এখন পাঠাগার নিয়ে জাগরণের সময়।
শিক্ষালোক লেখক-শিল্পী সম্মিলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিদীপের গ্রন্থাগার ও সভাকক্ষে শুক্রবার ‘৭ম শিক্ষালোক লেখক-শিল্পী সম্মিলন’ অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মিলনের শুরুতে শিক্ষালোকের যুগপূর্তি বিষয়ে কথা বলেন শিক্ষালোকের নির্বাহী সম্পাদক আলমগীর খান। সিদীপের ‘মোহাম্মদ ইয়াহিয়া মুক্তপাঠাগারে’র ওপর আলোচনা করেন গবেষণা ও প্রকাশনা কর্মকর্তা মাহবুব উল আলম। এরপর ‘শিক্ষার্থীদের বই পড়ার অভ্যাসের ওপর মুক্তপাঠাগারের প্রভাব’ শীর্ষক গবেষণাটি উপস্থাপন করেন মাহবুবুর রশীদ অরিস।
সম্মিলনে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক শিক্ষাবিদ শহিদুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনারারি প্রফেসর বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী ।
সম্মিলনে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন সিদীপের ভাইস চেয়ারম্যান শাজাহান ভুঁইয়া ও লেখক-গবেষক সালেহা বেগম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন শিক্ষালোকের নির্বাহী সম্পাদক আলমগীর খান।
সম্মিলনে শিক্ষা ও মুক্তপাঠাগার নিয়ে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের শিক্ষক খান মো. রবিউল আলম, সাংবাদিক আমীন আল রশীদ, ‘এবং বই’ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, শিল্পী শিশির মল্লিক, পুষ্টিবিদ ফাহমিদা করিম, কবি শওকত হোসেন, শিল্পী বিপ্লব দত্ত, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা রঞ্জন মল্লিক, লেখক রিয়াজ মাহমুদ, সংস্কৃতিকর্মী নাজনীন সাথী, সমাজকর্মী আবদুল হালিম খানসহ অনেকে।
শিক্ষাবিদ শহিদুল ইসলাম তার বক্তব্যে শিক্ষালোকের এক যুগে পদার্পণের জন্য শুভেচ্ছা জানান। তিনি পঞ্চাশ-ষাটের দশকের মানুষের পাঠাগারমুখিতার সঙ্গে পরবর্তী সময়ের পাঠাগারবিমুখতার একটি তুলনামূলক আলোচনা করেন এবং বর্তমানে আবার পাঠাগারের জাগরণের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন।
কিশোর-কিশোরীদের বইমুখী করতে মোহাম্মদ ইয়াহিয়া মুক্তপাঠাগারের উদ্যোগকে তিনি সাধুবাদ জানান।