রাজশাহীর শাহ মাখদুম থানার সামনে নিজের গায়ে আগুন দেয়া লিজা রহমান (১৯) নামের সেই কলেজছাত্রী মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার সকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

স্বামীর নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ অভিযোগ না নেয়ায় গত শনিবার ক্ষোভে শাহ মাখদুম থানার সামনেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মাহুতি দেয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।  

ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, লিজার শ্বাসনালীসহ তাঁর শরীরের ৬৩ শতাংশ দগ্ধ ছিল। প্রথম থেকেই তাকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছিল। তাঁর অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক।

লিজার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়। তিনি রাজশাহী মহিলা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তাঁর স্বামী চাপাই নবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার সাখাওয়াত হোসেন। তারা নগরীর পবা নতুন পাড়া এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন।

আরএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছিলেন, লিজা প্রথমে থানায় গিয়ে তার স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না বলে জানান। সেখানে তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে সমঝোতার কথাও বলেন। পরে ওসি তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে অভিযোগ করতে বলেন। পরে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে গিয়ে কথা বলেন লিজা।

সেখানে ঘটনা বলার পর ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পক্ষ থেকে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন কিনা। এসময় লিজা বাইরে থেকে আসছি বলে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। এরপরই তিনি থানা থেকে কিছুটা দুরে গিয়ে কেরোসিন কিনে গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।